• ঢাকা
  • শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা, হৃদয় ভাঙল পাকিস্তানের 


ক্রীড়া ডেস্ক অক্টোবর ২৭, ২০২৩, ১১:১৫ পিএম
রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা, হৃদয় ভাঙল পাকিস্তানের 

ঢাকা: দুই যুগ পর পাকিস্তানের বিপক্ষে আইসিসির ইভেন্টে হারের বৃত্ত ভেঙেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বলতে গেলে এক প্রোটিয়া ব্যাটার এইডেন মার্করামের কাছেই হেরে গেল বাবর আজমের দল। 

যদিও তাকে বিদায় করে পাকিস্তান শেষদিকে নাটকীয়তা তৈরি করেছিল। কিন্তু আগেই ৯১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথ সহজ করে দিয়ে যান মার্করাম। শেষ পর্যন্ত তারা পাকিস্তানের দেওয়া ২৭১ রানের লক্ষ্য ১ উইকেটে জিতেছে।

এ নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ পঞ্চম জয় তুলে নিল প্রোটিয়ারা। সমান সংখ্যক জয় পাওয়া ভারত এখনও এই আসরে কোনো হার দেখেনি। চলতি বিশ্বকাপে আজকের ম্যাচসহ দুদিন পরে ব্যাট করেছে টেম্বা বাভুমার দল। দুটি ম্যাচেই তাদের ভুগতে হয়েছে। অথচ আগে ব্যাট করা বাকি ম্যাচগুলোতে তাদের ব্যাটারদের হাতে রয়েছিল পুরো ম্যাচের দখল!

চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তানের শেষ কয়েক ওভার ছিল চরম শ্বাসরুদ্ধকর। একে চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে জমজমাট ম্যাচ বললেও ভুল হবে না! শেষদিকে ১৮ বলে মাত্র ৫ রান দরকার ছিল প্রোটিয়াদের, তবে তাদের হাতে ছিল মাত্র এক উইকেট। অন্যদিকে আগেই তিন পেসারের কোটা পূরণ করে ফেলা বাবরকে জয় নিশ্চিত করতে স্পিনারের ওপরই নির্ভর করতে হতো। 

যার প্রতিদান দিতে পারেননি মোহাম্মদ নেওয়াজ। তার করা দুটি বলেরই লাইন ছিল লেগ-স্টাম্প থেকে বের হতে চাওয়া! যাতে আলতো ব্যাটের ছোঁয়া দিতেই জয়ের বন্দরে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

২৭০ রানকেও যখন এইডেন মার্করামের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সহজ লক্ষ্যে পরিণত করেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা, তখন হঠাৎ করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো পাকিস্তান। মার্করামের উইকেট তুলে নেয়ার পর একে একে প্রোটিয়াদের ৯জন ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়েছিলো তারা।

কিন্তু শেষ ব্যাটারকে আর প্যাভিলিয়নের পথ দেখাতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। কেশভ মাহারাজ এবং তাবরিজ শামসি মিলে শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানি বোলারদের আগুনে বোলিং মোকাবেলা করে ১ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় উপহার দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

সে সঙ্গে ভারতকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেলো প্রোটিয়ারা। ৬ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট প্রোটিয়াদের। সমান পয়েন্ট হলেও রান রেটে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এআর

Wordbridge School
Link copied!