ঢাকা: স্টাম্পে বল টেনে এনেছেন শ্রীলঙ্কা ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। ৩৬ বলে ৪১ রান করে থামলেন তিনি, পরপর ২ ওভারে দুজন থিতু ব্যাটসম্যানের উইকেট নিল বাংলাদেশ। হুট করেই আবার চাপ শ্রীলঙ্কার ওপর।
মেন্ডিস স্বস্তিতে ছিলেন না। তানজিমের ওপর চড়াও হয়েছিলেন, খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিলেও পরের ওভারে সাকিব আল হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে শরীফুলের হাতে ধরা পড়লেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। শরীফুল নিয়েছেন ভালো ক্যাচ। কিন্তু সেখানে ফিল্ডার থাকার পরও এভাবে অনায়াসে তুলে মারতে চাওয়ার ব্যাপারটির ব্যাখ্যা মেন্ডিস নিজেই দিতে পারবেন ভালো, তবে হতাশ যে হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
নিজের প্রথম ওভারে এসেই সফল বাংলাদেশ অধিনায়ক, ভাঙলেন গুরুত্বপূর্ণ জুটি। মেন্ডিস ফেরার পর তানজিমের উল্লাসটা যে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি ছিল, সেটি অস্বাভাবিক নয়! শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান।
শুরু হয়েছিল মেন্ডিসের পুল করে মারা ছক্কায়। এরপর ক্রস সিমের ডেলিভারিতে তাকে পরাস্ত করেন তানজিম। দুজনের মধ্যে কথা চালাচালিও হয়েছে একটু। আম্পায়ার মারাই এরাসমাসকে কথা বলতে দেখা গেছে তানজিমের সঙ্গে। এরপর আবার ক্রস সিমের ডেলিভারি, এবার মেন্ডিসের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে উঠেছিল ক্যাচ। কিন্তু ফিল্ডার ছিলেন না, থার্ডম্যান দিয়ে হয়েছে চার। আবার দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে। এরাসমাস এবার চারের সঙ্কেত দিতে দিতে দুজনের মাঝামাঝি গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
প্রথম ওভারে উইকেট হারানোর ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে এনেছে শ্রীলঙ্কা, সেটি বলাই যায়। দুর্দান্ত বোলিং করেও প্রথম ৫ ওভারে তাসকিন পাননি উইকেটের দেখা। সর্বশেষ ফুললেংথে কিছুটা ঝুলিয়ে দেওয়ার মতো করেছিলেন তাসকিন। নিশাঙ্কার তাতে তেমন নিয়ন্ত্রণ ছিল না, কিন্তু বৃত্তের ভেতরে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে সেটি হয়েছে চার। তাসকিনের বোলিং এখন পর্যন্ত এমনই! আঁটসাঁট করেছেন, উইকেটের খোঁজে বৈচিত্র এনেছেন। কিন্তু সেটির দেখা পাননি। বাংলাদেশও প্রথম ওভারের পর প্রথম পাওয়ারপ্লেতে উইকেট নিতে পারেনি আর।
এআর