ঢাকা: বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দলে থাকবেন কিনা সেটা নিয়েই চলছিলো আলোচনা। অনেকেই বলছিলেন, রিয়াদের বয়স হয়ে গেছে, ফিটনেস খারাপ, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ চলে না। তবে সব আলোচনা-সমালোচনা সত্বেও দলে জায়গা হয়েছিলো সাইলেন্ট কিলারের। তারপরের ঘটনা তো সবার জানা।
বিশ্বকাপে যখন বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারই তেমন একটা সুবিধে করতে পারেনি সেখানে হিসেব অনুযায়ী এবারের বিশ্বকাপে টাইগারদের সেরা ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও।
একইসঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টানা দুই বিশ্বকাপে ৩০০ এর বেশি রান সংগ্রহ করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। টাইগার এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার টুর্নামেন্টে ৭ ইনিংস ব্যাট করে ৫৪ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৩২৮ রান।
নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া বাকি ৮ ম্যাচেই একাদশে ছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। মোট ৭ ইনিংসে মাহমুদউল্লাহর রান ৩২৮, যা অন্য সব ব্যাটারদের চেয়ে বেশি। দলের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ৩০০ রান পার করেছেন তিনি। বল খেলেছেন ৩৫৮টি, গড় ৫৪.৬৬, স্ট্রাইক রেট ৯১.৬২ যা দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, চার মেরেছেন ২৮টি, ছক্কা ১৪টি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবারের আসরে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরির মালিকও মাহমুদউল্লাহ, খেলেছেন ১১১ রানের দারুণ একটি ইনিংস। বিশ্বকাপে তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ৩টি, যা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। একাধিক বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করা একমাত্র বাংলাদেশী ক্রিকেটারও তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে রান সংগ্রাহকের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ওপেনার লিটন দাস। ৯ ম্যাচে লিটন করেছেন ২৮৪ রান, সর্বোচ্চ স্কোর ৭৬, গড় ৩১.৫৫। লিটনের পরে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তার রান ৯ ম্যাচে ২২২ রান। এরপর আছেন মুশফিকুর রহিম, ৯ ম্যাচে করেছেন ২০২ রান, মেহেদী হাসান মিরাজ করেছেন ৯ ম্যাচে ২০১ রান।
সাকিব আল হাসান করেছেন ৭ ম্যাচে ১৮৬ রান, তামিম করেছেন ৯ ম্যাচে ১৪৫ রান। তৌহিদ হৃদয় ৭ ম্যাচে করেছেন ১৬৪ রান।
এআর