ঢাকা: আকবর আলীর হাত ধরে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ যুব দল। তবে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর মতো মেধাবী ক্রিকেটার থাকার পরও বাংলাদেশ জাতীয় দলের বলার মতো তেমন কোনো সাফল্য নেই। ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় তো দূরের পথ, বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারেননি টাইগাররা। এবার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ অভিযানে ভারত গেলেও গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
একের পর এক হেরে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিশ্বকাপ পয়েন্ট টেবিলের আটের মধ্যে থাকায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করেছেন সাকিবরা। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। তাদের অনেকেই বলছেন- বাংলাদেশ কি কখনো বিশ্বকাপ জিততে পারবে? আবার কেউ কেউ বলছেন আমরা বেঁচে থাকাবস্থায় কি বাংলাদেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে দেখতে পাব? সত্যিই কি বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ জিততে পারবে?
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। দেশে এবং দেশের বাইরে বিগত কয়েক বছর ধরেই তারা সাফল্য পাচ্ছে। তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। ২০১১, ২০১৫, ২০১৯-এর পর ২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। অনেকেই বলেন, এই সময়টা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ধারাবাহিক উন্নতি করেছে। দলে ‘পঞ্চপাণ্ডব’-এর অধিকাংশই ছিলেন; তাই বিশ্বকাপে ভালো করার সম্ভাবনাও ছিল বেশি। কিন্তু কোনো বিশ্বকাপেই শেষ চার পর্যন্ত যেতে পারেননি টাইগাররা। যে সংস্করণ নিয়ে তারা গৌরব করেন, সেই সংস্করণের বারবার হতাশ করছেন।
সামনে ২০২৭ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে। সেখানকার কন্ডিশনেও বাংলাদেশ দলকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। এ ছাড়া তখন সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকেই দলে থাকবেন না। তবে ২০৩১ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ভারত ও বাংলাদেশ। ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকেই মনে করেন, ২০৩১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল হয়তো তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাফল্যের দেখা পাবে! এ জন্য এখন থেকেই সুর্নিদিষ্ট পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে বলেও মনে করছেন তারা।
এমএস