ঢাকা: সেই সিলেটেই দ্বিতীয়বারের মতো ১০ উইকেট নিলেন তাইজুল ইসলাম। এই ম্যাচে মতো সেই ম্যাচও শুরু হয়েছিল নভেম্বরে। যে ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল।
কিন্তু সেই সময় বাংলাদেশকে বিব্রতকর হার উপহার দেয় জিম্বাবুয়ে। যে ম্যাচে তারা জিতেছিল ১৫১ রানে। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ বছর পর বাংলাদেশ সেই সিলেটে জিতল ১৫০ রানে।
সেই ম্যাচে তাইজুলের বোলিং ফিগার ছিল ৬৮.১ ওভারে ১৫ মেডেনে ১৭০ রানে ১১ উইকেট। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবারের ম্যাচে তাইজুলের বোলিং ফিগার ছিল-৭০.১ ওভারে ১৭ মেডেনে ১৮৪ রান দিয়ে ১০ উইকেট। দুটি বোলিং ফিগারে পুরো মিল না থাকলেও সংখ্যাগুলো কেমন যেন খুব কাছাকাছি!
ইকোনমি রেট ও বোলিং গড়ও বেশ কাছাকাছি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই টেস্টে তাইজুলের ইকোনমি ছিল ২.৪৯ এবং বোলিং গড় ছিল ১৫.৪৫। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেটি ২.৬২ ও ১৮.৪০। আলাদা দুই ম্যাচে তাইজুলের দুটি পারফরম্যান্সের এমন কাছাকাছি থাকা আশ্চর্যকরই। কিন্তু এটি নিশ্চয় তাইজুলকে অন্য রকম এক তৃপ্তিই দেবে।
অন্তত হারা ম্যাচে ১০ উইকেট প্রাপ্তির গ্লানি তাকে আর বয়ে বেড়াতে হবে না। বরং সমালোচনার মুখে থাকা বাংলাদেশকে যে মুহূর্তে তিনি জয়টি এনে দিয়েছেন সেটিই অন্য রকম আত্মবিশ্বাস জোগাবে তাইজুলকে।
সিলেট টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে তাইজুল একটি কাতারেও নাম লিখিয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে এত দিন এক ম্যাচে দুবার করে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন শুধু সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সিলেট টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে তাইজুলও নাম লেখালেন সাকিব-মিরাজের তালিকায়।
এআর