• ঢাকা
  • রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে এগিয়ে রিয়াল ও ম্যানসিটি


ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ১০:৪২ এএম
কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে এগিয়ে রিয়াল ও ম্যানসিটি

ঢাকা : ব্রাহিম দিয়াজের মনোমুগ্ধর গোলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে নিজেদের পথ এগিয়ে রাখলো রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে জার্মান ক্লাব লাইপজিগকে ১-০ গোলে হারিয়ে এই আসরে সুবিধাজনক অবস্থানে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। অন্য ম্যাচে কোপেনহেগেনের বিপক্ষে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) লাইপজিগের ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর খেলায় ম্যাচের একমাত্র গোলে জয় পায় রিয়াল। জুড বেলিংহ্যামের বদলি হিসেবে খেলা দিয়াজই গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে রিয়ালকে জয় এনে দেন।

দলের সবচেয়ে ইনফর্ম ফুটবলার জুদ বেলিংহ্যামকে ছাড়া খেলতে নেমে শুরু থেকে তোপের মুখে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। লাইপজিগের একের পর এক আক্রমণে নাজেহাল হয়ে পড়ে তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনো গোল হজম ছাড়াই বিরতিতে যেতে সক্ষম হয় দলটি। চাপ সামাল দেন গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন একা।

বিরতির পর ম্যাচের ডেডলক ভাঙেন ব্রাহিদ দিয়াজ। ৪৮ মিনিটে অনেকটা একক নৈপুণ্যেই গোল করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ডান প্রান্তে দানি কারভাহালের কাছ থেকে বল পেয়ে প্রায় পড়েই গিয়েছিলেন তিনি। নিজেকে সামলে নিয়ে বল পায়ে দৌড়াতে শুরু করেন। লাইপজিগের কয়েকজন ফুটবলারকে কাটিয়ে ডি বক্সের কাছাকাছি এসে জোরালো শট নেন। বল দূরের পোস্ট দিয়ে ঢুকে যায় জালে, ঝাঁপিয়ে পড়েও তার নাগাল পাননি গোলরক্ষক পিটার গোলাক্সি।

অবশ্য খেলার আগেই রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানিয়েছেন, বেলিংহ্যাম দলে না থাকার কারণে চিন্তিত নন তিনি। কারণ বেলিংহ্যামের অভাব দিয়াজ কিংবা হোসেলু পূরণ করে দিবে।

খেলার মাঠে হলো তাই। ইনজুরিতে থাকা বেলিংহ্যামের অভাব ঠিকই পূরণ করলেন দিয়াজ। তবে গতকালের জয় কেবল দিয়াজের একার অবদানে হয়নি। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন রিয়ালের ইউক্রেনীয় গোলরক্ষক এন্ড্রি লুমিন। তার দারুণ সেভে রিয়ালের জালে বল জড়াতে পারেনি লাইপজিগ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে এই জয়ে টানা ৭ জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলো রিয়াল।

অপর ম্যাচে ডি ব্রুইনার গোলে কোপেনহেগেনের বিপক্ষে এগিয়ে যায় সফরকারী সিটি। মেগনাস মেটসন সমতা ফেরানোর পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফের ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন বের্নার্দো সিলভা। যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান ফিল ফোডেন। দুই সতীর্থের গোলেই অবদান রাখেন ডি ব্রুইনা।

পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই নেমেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। একাদশে ছিলেন এডারসন, কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, নাথান একে, আর্লিং হালান্ডরা। যদিও হলান্ড থেকেছেন নিজের ছায়া হয়েই। জ্বলে উঠেছিলেন কেভিডন ডি ব্রুইনা ও ফিল ফোডেন। দুজনই গোল-অ্যাসিস্ট করে দলকে জিতিয়েছেন।

ম্যাচের ৬ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার পর খুব বেশিক্ষণ সমর্থকদের হতাশায় রাখেনি ম্যানচেস্টার সিটি। ৪ মিনিট বাদেই ডি ব্রুইনার গোলে এগিয়ে যায় তারা। ব্রুইনার গোলে অ্যাসিস্ট করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড ফিল ফোডেন।

৩৩ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে সক্ষম হয় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। এক মিনিট পরই সমতায় ফিরে কোপেনহেগেন। এ সময় গোল করেন ম্যাগনাস ম্যাটসন। বিরতির ঠিক আগে ব্রুইনার পাস থেকে বল পেয়ে বার্নার্দো সিলভা গোল করলে ২-১ ব্যবধানের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় সফরকারী দল। ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল করেন ফোডেন। তাতে ৩-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় সিটিজেনদের।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!