ঢাকা: দশম বিপিএলের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি ফরচুন বরিশাল। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই আসরের প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর। অন্যদিকে প্লে-অফে টিকে থাকতে আজকের ম্যাচে জিততেই হবে ফরচুন বরিশালকে। এমন সমীকরণে আগে ব্যাট করতে নেমে আবু হায়দার রনি ফাইফারে কোন ঠাসা বরিশালের ইনিংস থামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানে। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে ১ উইকেটের জয় পায় রংপুর।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নামেন অধিনায়ক তামিম ও থমাস ব্যান্টন। এই দুই জনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় বরিশাল। এদিন শুরু থেকে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন টাইগার ড্যাশিং ওপেনার তামিম। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে নিজের শততম ম্যাচ স্মরণীয় করতে ছিলেন। তবে সেই ইনিংস বড় করতে দেননি টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
দলীয় ৩৮ রানে সাকিবের ইনিংসের প্রথম বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ২০ বলে ৩৩ রান করে আউট হন বরিশাল অধিনায়ক। তামিম আউট হলে ব্যাটিংয়ে আসেন কাইল মায়ার্স। এরপর ব্যাট চালাতে থাকেন মায়ার্স। ২৩ বলে ২৬ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার থমাস ব্যান্টন। ৩ বলে ৫ রান করে আউট হন মুশফিকুর রহিমও। এক বল পরেই সৌম্য সরকারকে বোল্ড আউট করেন আবু হায়দার রনি।
এরপর একই ওভারের পঞ্চম বলে মায়ার্সকে ফিরিয়ে ওভার হ্যাটট্রিক করে এই টাইগার বোলার। এতে পাঁচ রানের ব্যবধানের চার ব্যাটারকে হারিয়ে ছন্দ হারায় বরিশাল। সেখান থেকে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে বরিশাল শিবিরে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৯ বলে ৯ রান করে রনির চতুর্থ শিকার হন এই টাইগার ফিনিশার।
এদিকে বিধ্বংসী বোল করা রনি ইনিংসের ১৭তম ওভারে বল করতে এসে মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করে ফাইফার পূরণ করেন রনি। ৮ বলে ৩ রান করেন মিরাজ। বরিশালের যাওয়া আসার মিছিলে আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত সাইফউদ্দিনের ১০ রান এবং ওবেদ ম্যাককয়ের ১২ বলে ১২ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বরিশাল। রংপুরের হয়ে বল হাতে রনি নেন সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট।
এমএস