ঢাকা: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন নিউজিল্যান্ডের পেসার নিল ওয়্যাগনার। নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় নেই বুঝতে পেরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন এই পেসার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি। মাঠে ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা দেখানো বাঁহাতি এই পেসার বিদায়বেলায় ভাসলেন চোখের জলে।
মঙ্গলবার ওয়েলিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী ওয়্যাগনার। সেসময় তার পাশে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টিড।
গত সপ্তাহে স্টিডের সঙ্গে আলোচনার পর ক্যারিয়ারের ইতি টানার পথে এগোন ওয়্যাগনার। তাকে জানানো হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে আসন্ন দুই টেস্টের সিরিজের স্কোয়াডে থাকলেও তাকে খেলানো হবে না। ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠেয় প্রথম টেস্টের একাদশে থাকবেন না তিনি। আর ক্রাইস্টচার্চে হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের আগে থেকে স্কোয়াড থেকে ছেঁটে ফেলা হবে তাকে।
অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়নি। তবে এটাই সঠিক মনে হয়েছে ওয়্যাগনারের। অশ্রুভেজা চোখে তিনি বলেন, 'এমন একটি জায়গা থেকে সরে দাঁড়ানো সহজ নয়, যেখানে আপনি অনেক কিছু যেমন দিয়েছে, তেমনি অনেক কিছু পেয়েছেনও। তবে এখন সময় এসেছে অন্যদের উঠে আসার এবং এই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।'
টেস্টে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ওয়্যাগনার। ২০১২ সালে নর্থ সাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেকের পর থেকে লাল বলের ক্রিকেটে ৬৪ ম্যাচে ২৭.৫৭ গড়ে তিনি নিয়েছেন ২৬০ উইকেট। তার বোলিং স্ট্রাইক রেট ৫২.৭। টেস্টে অন্তত ১০০ উইকেট পাওয়া কিউই বোলারদের মধ্যে তার চেয়ে ভালো স্ট্রাইক রেট আছে কেবল কিংবদন্তি রিচার্ড হ্যাডলির।
টেস্টে গত এক যুগ ধরে নিয়মিত মুখদের একজন হলেও ওয়্যাগনারের নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাঠে নামা হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও প্রথম শ্রেণিতে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
ওয়্যাগনারের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায় হলেও সেখানকার কোটা পদ্ধতির কারণে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। ভাগ্য বদলাতে ২০০৮ সালে তিনি পাড়ি জমান নিউজিল্যান্ডে। সেখানে ঘরোয়া ক্রিকেট পারফর্ম করে এবং অন্যান্য বাধ্যবাধকতা পূরণ করে চার বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চলে আসেন তিনি।
গত কিছুদিন ধরেই অবশ্য বিদায়ের সুর শুনতে পাচ্ছিলেন ওয়্যাগনার। চোটসহ নানা কারণে কিউই টেস্ট একাদশে হয়ে পড়েছিলেন অনিয়মিত। গত বছরের মার্চের পর কেবল একটি টেস্ট খেলতে পেরেছেন তিনি। চলতি মাসেই হ্যামিল্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টটি হয়ে থাকছে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :