ঢাকা: দায়িত্বশীল ইনিংসে ফরচুন বরিশালকে ফাইনালে তোলায় বড় অবদান রেখেছেন মুশফিকুর রহিম।
ম্যাচ শেষে অবশ্য তার কণ্ঠেও উঠে এলো সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের প্রসঙ্গ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ক্রিকেটের বড় দুই তারকাকে ঘিরে যা হচ্ছে, মুশফিকের চোখে তা অনৈতিক।
গত কিছুদিনে সাকিব ও তামিমের সমর্থকদের রেষারেষি ভিন্ন এক মাত্রা পেয়ে গেছে। সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু হয়ে তা বয়ে এসেছে ক্রিকেট মাঠেও। গ্যালারি থেকে কখনও সাকিবকে শুনতে হয় 'ভুয়া, ভুয়া' স্লোগান। আবার কখনও মাঠে দুয়োধ্বনি পান তামিম।
অথচ বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক সময় বহুল আলোচিত বিষয় ছিল সাকিব ও তামিমের বন্ধুত্ব। সময়ের পালাক্রমে যা এখন বিস্মৃত অতীত। গত কয়েক বছর ধরেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয় দুজনের। গত বছর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের এক সাক্ষাৎকারের পর যা চলে আসে সবার সামনে।
পরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে তামিমের না থাকা, টি-স্পোর্টস চ্যানেলে সাকিবের বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পর দুজনের দ্বন্দ্বের ব্যাপারটি প্রকট আকার ধারণ করে আরও। এরপর থেকেই মূলত সরাসরি দুই ভাগ হয়ে গেছে সমর্থকগোষ্ঠি। সামাজিক মাধ্যম তো বটেই, মাঠেও বিব্রতকর পরিস্থিতির সামনে পড়ছেন সাকিব-তামিমরা।
তাই তো বুধবার রংপুর রাইডার্স ও বরিশালের মধ্যকার ম্যাচটি দুই দল ছাপিয়ে হয়ে উঠেছিল সাকিব বনাম তামিমের লড়াই। যেখানে শেষ পর্যন্ত জিতেছে তামিমের দল। মুশফিকের ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংসের সৌজন্যে ৯ বল বাকি থাকতেই ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে বরিশাল। মুশফিকের হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যান বলেছেন, সকলের আগ্রহ সাকিব-তামিমে কেন্দ্রীভূত হওয়ায় সহজ হয়ে গিয়েছিল বাকিদের কাজ।
“সত্যি কথা বলতে, এরকম বড় একটা ম্যাচে যদি এরকম একজন লাইমলাইট নিয়ে থাকে, তাহলে সবচেয়ে রিল্যাক্স থাকা যায়। দুইজন দুজনের যুদ্ধ করবে আর আমরা আমাদের খেলাটা খেলব, ইজি… (হাসি)।”
“সত্যি কথা… দুজনই আমি দেখেছি, অনেক রিল্যাক্সড ছিল, দুজনই ছিল নিজের মতো এবং ওরা দুজনই জানে, নিজ নিজ দলের জন্য ওরা কত বড় অবদান রাখতে পারে। আমি মনে করি, তাদেরকে বলার কিছু নেই। দুজনই দুই দিক থেকে বাংলাদেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটার।”
সাকিব ও তামিমকে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও টেনে আনেন মুশফিক।
“তাদের দুজনকে নিয়ে লড়াই দূরের কথা, আমি মনে করি, তাদের নিয়ে কথা বলাই অনৈতিক ব্যাপার। তারা যতটুকু বাংলাদেশকে দিয়েছে এবং আশা করি আরও দেবে, সেটার সমকক্ষ কিছু নেই।”
“যারা ওদের নিয়ে কথা বলেন বা এই যে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলেন, ... এটা আসলে... সাকিব আর তামিম যদি ‘ভুয়া ভুয়া’ শোনে, তাহলে তো আমাদের মাটির ভেতরে ঢুকে যাওয়া উচিত। সিম্পল জিনিস... তাদের মতো ক্রিকেটার যদি আসলে... (ভুয়া ভুয়া শোনে)।”
এআর
আপনার মতামত লিখুন :