ঢাকা : নতুন আঙ্গিকের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফরম্যাট কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে কয়েক বছর ধরে। দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে অবশেষে তা চূড়ান্ত হলো। ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে ৩৬ দলের ইউরোপ সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতায় থাকছে না কোনো গ্রুপ পর্ব। রাউন্ড রবিন লিগ ভিত্তির প্রথম ধাপে দলগুলোর ম্যাচ সংখ্যাও বাড়ছে।
বছর তিনেক আগেই নতুন এই ফরম্যাটের একটা ধারণা মেলে। অবশ্য ২০২১ সালের এপ্রিলে উয়েফা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথম পর্বে প্রতিটি দলের ম্যাচ খেলা কথা ছিল ১০টি। যা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে অনেকের মূল্যায়ন ছিল, বছরব্যাপী এখনই খেলোয়াড়দের টানা ব্যস্ত সূচিতে খেলতে হয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই ধরণ আরও চাপ বাড়াবে।
তবে উয়েফার ওয়েবসাইটে সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূর্ব ঘোষণা থেকে কিছুটা সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ। চূড়ান্ত ফরম্যাটে টুর্নামেন্টের প্রথম ধাপে প্রতিটি দলকে খেলবে আটটি করে ম্যাচ। পরের ধাপ থেকে শুরু হবে নকআউট পর্ব।
২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাট : বর্তমানে ৩২ দলের টুর্নামেন্টে প্রথম পর্বে চারটি করে দল আট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেয়। তাতে গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল খেলে ছয়টি করে ম্যাচ (তিন দলের বিপক্ষে হোম-অ্যাওয়ে ম্যাচ)।
নতুন ফরম্যাটে থাকছে না গ্রুপ পর্ব। সেখানে প্রাথমিক র্যাঙ্কিং অনুযায়ী চারটি পটের প্রতিটিতে ৯টি করে দল জায়গা পাবে। এরপর ড্রয়ের ভিত্তিতে প্রতিটি পট থেকে একটি দলের দুটি করে প্রতিপক্ষ নির্বাচন করা হবে এবং প্রতিটি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে একবারই মুখোমুখি হবে ওই দল; এই আট ম্যাচের চারটি তারা খেলবে ঘরের মাঠে এবং অন্য চারটি প্রতিপক্ষের মাঠে।
এর ফলে বড় দলগুলোর মুখোমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে আরও বেশি এবং দর্শকদের জন্য তা আরও উপভোগ্য হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস উয়েফার।
কীভাবে দলগুলো নকআউট পর্বে উঠবে?
আগের মতোই প্রতিটি ম্যাচে জয়ী দল পাবে ৩ পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য ১ পয়েন্ট। রাউন্ড রবিন লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকার প্রথম আটটি দল সরাসরি জায়গা করে নেবে শেষ ষোলোয়।
আর টেবিলের ৯ থেকে ২৪ নম্বরে থাকা দলগুলোর মধ্যে হোম-অ্যাওয়ে দুই লেগের প্লে-অফ লড়াই শেষে আটটি দল পাবে শেষ ষোলোর বাকি আটটি টিকেট।
শেষ ষোলো থেকে ফাইনাল পর্যন্ত লড়াইয়ের ফরম্যাটে অবশ্য নেই কোনো পরিবর্তন। বর্তমানে যেভাবে নকআউট পর্ব হয়, সেভাবেই চলবে।
এমটিআই