ঢাকা : তিন ম্যাচ সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্যে বুধবার (৬ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের জন্য বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
অভিষিক্ত জাকের আলি অনিক এবং অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বীরত্বপূর্ণ ইনিংস সত্ত্বেও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৩ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। বড় রান তাড়া করতে নামা বাংলাদেশের জয়ের আশা শেষ ওভার পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ৩৪ বল খেলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলা জাকের। বিশেষভাবে সাহসী ব্যাটিংয়ের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন জাকের। নিজের ইনিংসে ৬টি ছক্কা হাঁকান জাকের। যা শুধুমাত্র একজন অভিষেক ব্যাটার হিসেবেই নয়, টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি কোন ব্যাটারের পক্ষেও সর্বোচ্চ।
প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২০৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। তবে সন্ধ্যার শিশিরের কারনে বড় টার্গেট স্পর্শ করার সুযোগ ছিলো। কিন্তু টপ-অর্ডারের ব্যর্থতায় ইনিংসের শুরুতে ৩০ রানে বাংলাদেশের ৩ উইকেট পতন হারের প্রধান কারন হিসেবে শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়। মাহমুদুল্লাহ ও জাকের প্রতিরোধ গড়ে না তুললে অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত ম্যাচটি।
চাপের মধ্যে প্রতিপক্ষকে প্রথম পাল্টা আক্রমণ করেন দুই বছর পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদুল্লাহ। জাকেরের ব্যাটিং ঝড়ের আগে ৩১ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য ১২ রানের দরকার ছিলো। ঐ ওভারে জাকিরসহ দুই উইকেট নিয়ে টাইগারদের জয় বঞ্চিত করেন দাসুন শানাকা।
হারের পরও এমন পারফরমেন্স সিরিজে সমতা আনতে বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করবে বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
শান্ত বলেন, ‘আমরা বোলিংয়ে ভালো শুরু করেছি। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারিনি। মাহমুদুল্লাহ-জাকেরের ইনিংস দু’টি দুর্দান্ত ছিল। আশা করি তারা পরের ম্যাচেও এ ধারা অব্যাহত রাখবে।’
প্রথম ম্যাচের হার থেকেও ইতিবাচক দিকগুলো নেওয়ার সুযোগ থাকছে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঘরের মাঠের সমর্থকদের মাতিয়ে রাখা সিলেটের ছেলে জাকেরের। তিনি বলেন, ‘হার সব সময়ই হৃদয় বিদারক। বিপিএল ফাইনালে হারের পর রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। আজ জিততে পারলে খুব ভালো লাগতো। পরের ম্যাচের জন্য ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা করেছি। আজকের ম্যাচ থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক বিষয় নিতে পারবো।’
টপ অর্ডারের ফর্ম উদ্বেগজনক হলেও গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে পরিবর্তন আনতে চাইবে না বাংলাদেশ।
ওপেনার কুশাল মেন্ডিস এবং মিডল অর্ডার ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমার দু’টি দুর্দান্ত ইনিংসের পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কার ক্যামিও ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। এজন্য লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ক্রিজে আসার প্রয়োজনও পড়েনি। শিশির থাকার পরও দারুন বোলিং করেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচের পারফরমেন্সের পর একাদশে পরিবর্তন আনতে চাইবে না শ্রীলঙ্কাও। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ডেথ ওভারে বোলিং করার সময় পেসার মাথিশা পাথিরানা ইনজুরি নিয়ে উদ্বেগ আছে লঙ্কান শিবিরে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৪ বারের মোকাবেলায় ১০টিতে হেরেছে বাংলাদেশ, জিতেছে ৪টিতে।
এমটিআই