ঢাকা: অশ্বিন, বেয়ারস্টো, উইলিয়ামসন, সাউদিদের জন্য আগামী কয়েকটা দিন আবেগময় একটা দিন। শততম টেস্টের মাইলফলকে এই চার ক্রিকেটার।
এমন মাইলফলকের আগে টিস্যু পেপার জোগাড় করে রেখেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান গত পরশুই জানিয়ে রাখেন, যেকোনো সময় আবেগ সামলাতে না পেরে ভিজে যেতে পারে তার চোখ।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন তো আবার খুলে দিয়েছেন স্মৃতির ঝাঁপি। পুরো টেস্ট ক্যারিয়ারটাই নাকি চোখের সামনে ভেসে উঠছে ভারতীয় অফ স্পিনারের। অশ্বিনকে উদ্দেশ করে তাঁর স্ত্রী প্রীতি তো আবেগঘন এক খোলা চিঠিও লিখে ফেলেছেন।
ওদিকে কেইন উইলিয়ামসনও স্মৃতির ডালা খুলে দিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবার ব্যাটিং করতে নামার সময় কী করেছিলেন, সেই স্মৃতিচারণা করছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। আগামী কয়েকটা দিন যে তার ও সতীর্থ টিম সাউদির জন্য খুব আবেগময় যাবে, বলেছেন সেটিও।
শততম টেস্ট খেলতে যাওয়া সাউদির জন্য উপলক্ষটা বড় হয়ে গেছে আরেকটি কারণেও। রস টেলর, বিরাট কোহলি ও ডেভিড ওয়ার্নারের পর মাত্র চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই ১০০ ম্যাচ খেলা হবে কিউই পেসারের।
ধর্মশালায় ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম টেস্টে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন অশ্বিন আর বেয়ারস্টো। উইলিয়ামসন ও সাউদির ‘১০০’র দেখা পেতে আর এক দিনের অপেক্ষা। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে ক্রাইস্টচার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামার কথা তাদের।
প্রথম টেস্টে হারলেও পরের তিনটি টেস্ট জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। ‘মরা’ ধর্মশালা টেস্ট তবু ‘জীবন্ত’ অশ্বিন-বেয়ারস্টোর জন্য। শততম টেস্টটা অশ্বিন-বেয়ারস্টোরা যেন জয় দিয়েই উদ্যাপন করতে পারেন, সতীর্থরা তো এটা চাইবেনই।
শততম টেস্ট খেলতে যাওয়া চারজনের মধ্যে সাউদির অভিষেকই সবার আগে। প্রথম টেস্ট খেলেছেন ২০০৮ সালে। সতীর্থ উইলিয়ামসনের টেস্ট অভিষেক এর দুই বছর পর। অশ্বিনের টেস্টে আবির্ভাব ২০১১ সালে, পরের বছর বেয়ারস্টোর। সাউদি-বেয়ারস্টোরা যে ‘১০০’-তে মিলে গেলেন, সেটির বড় কারণ তো অনুমেয়ই। ইংল্যান্ড টেস্ট অনেক বেশি খেলে।
এআর