ঢাকা : সম্প্রতি তামিম-মুশফিকের এক কথিত ফোনালাপ ফাঁস হলে চারিদিকে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে জানা যায়, মুশফিকের সঙ্গে তামিমের কথিত দ্বন্দ্বের সেই ভাইরাল ফোনালাপ আসলে একটি মোবাইল ফোনভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের অংশ ছিল।
কিন্তু বিজ্ঞাপনের জন্য একটা দেশের জাতীয় দলের ভেতরের ‘দ্বন্দ্বে’র গুঞ্জন তৈরি করা, সেটা ফলাও করে প্রচার করা কতটা নৈতিক তা নিয়ে বিতর্ক যৌক্তিকভাবেই ছড়াচ্ছে। এবার সেই ফোনালাপ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে ব্যবহার করে একটি ষড়যন্ত্রমূলক থিম সৃষ্টি করা হয়েছিল। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছিল তামিম ও মিরাজের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে এবং সেটা তারা হাতে পেয়েছে। সে ভিডিওতে আবার সাকিবের সঙ্গে তামিমের দ্বন্দ্বটাও তুলে আনা হয়েছিল।
ফোনালাপে তামিমকে ফরচুন বরিশাল-সতীর্থ মিরাজের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। সর্বশেষ বিপিএলে তাদের সঙ্গে বরিশালের দলেই থাকা মুশফিকের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তামিমকে। এই ফোনালাপ ফাঁসের পর থেকে প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা কীভাবে এমন কাজ করতে পারেন, তা যতই নাটকীয়তার আবেশ তৈরি করার জন্য হোক না কেন!
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হোসেন। এ সময় তামিম-মিরাজদের সেই ফোন-কল ইস্যুতে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, আমি বিজ্ঞাপনটা দেখিনি, তবে শুনেছি। একজন আমাকে বলেছে যে এরকম একটা বিজ্ঞাপন হয়েছে। ওরা যদি বিসিবির কোন নিয়ম ভেঙে থাকে তাহলে বোর্ড এর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেবে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে পাপন আরও বলেন, এমন কোনো বিজ্ঞাপন কিংবা নাটক করা উচিৎ না যেটা কোনো ক্রিকেটারকে হাস্যকরে (বিষয়ে) পরিণত করে। এরা কেউ বাচ্চা ছেলে না যে, হঠাৎ করে আজকে ওদেরকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জিনিসটা বলে দিতে হবে! তারা প্রত্যেকে জানে। এই কারণে আমাদের মনটা খারাপ হয়েছে এবং সেটা নিয়েই কথা বলব। সে বিষয়ে আজকে সবার সঙ্গে বসার জন্য এখানে এসেছি।
এমটিআই