ঢাকা: পাকিস্তান ক্রিকেটে আলোচিত বিষয় এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অধিনায়কত্ব। শাহিন আফ্রিদিই কি অধিনায়ক থাকছেন নাকি নতুন কেউ আসছেন নেতৃত্বে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
তবে শাহিন আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করেন শহীদ আফ্রিদি। তার মতে, শাহিনের অধিনায়কত্ব ঘিরে ভুলের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে পিসিবি।
গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বাবর আজম অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দেওয়া হয় শাহিনকে। তার নেতৃত্বে জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলে পাকিস্তান, যেখানে মাত্র একটি ম্যাচই জিততে পেরেছে শাহিনের দল। সম্প্রতি পিসিবির শীর্ষ পদ ও নির্বাচক কমিটিতে বড় পরিবর্তন এবং পিএসএলে শাহিনের দল কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের ভরাডুবির পর তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন জোরালো হয়ে ওঠে।
চলতি সপ্তাহে নতুন নির্বাচক কমিটি ঘোষণার সময় অধিনায়ক আফ্রিদির ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে পিসিবির প্রধান নাকভি বলেছিলেন, ‘আমিও জানি না, কে অধিনায়ক হবে। শাহিন চালিয়ে যাবে, নাকি নতুন একজন আসবে, সেটি ফিটনেস ক্যাম্পের পর ঠিক করা হবে।’ শাহিনের নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়ার গুঞ্জনের মঙ্গলবার এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন তার শ্বশুর শহীদ আফ্রিদি।
জামাই শাহিনের নেতৃত্ব মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট দেওয়া দরকার মন্তব্য করে সাবেক এই অধিনায়ক বলেছেন, ‘কাউকে অধিনায়কত্ব দিলে তাকে সময়ও দেওয়া দরকার। আমাদের ক্রিকেটেরে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, বোর্ডে পরিবর্তন এলে দলের পরিচালনায়ও বদল আসে। যে আসে, সে-ই ভাবে আমি যা করছি, পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য ভালোই করছি।’
শহীদ আফ্রিদির মতে, শাহিনকে নিয়ে ভুল সিদ্ধান্তে ঘুরপাক খাচ্ছে পিসিবি, ‘আপনি যদি অধিনায়ক বদলান, তাহলে হয় তাকে নিয়োগ দিয়ে ভুল করেছেন, নয়তো এখন পরিবর্তন করে ভুল করছেন।’ শাহিনকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল পিএসএলের ২০২২ ও ২০২৩ আসরে তার সাফল্যের জন্য। দুই আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শাহিনের নেতৃত্বাধীন দলটি, যারা এবার লিগ পর্বে জিতেছেই মাত্র এক ম্যাচ।
শহীদ আফ্রিদি অবশ্য গত ডিসেম্বরেই শাহিনকে অধিনায়ক বানানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় মেলবোর্ন ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে পছন্দ জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চাই। কিন্তু ভুলবশত শাহিনকে অধিনায়ক করা হয়েছে। কঠোর পরিশ্রম ও খেলার প্রতি মনোযোগের কারণে আমি রিজওয়ানের প্রশংসা করি। কে কী করল না করল, সেসবে ওর আগ্রহ নেই। ওর সবচেয়ে ভালো গুণ শুধু খেলার প্রতি মনোনিবেশ করা।’
এআর