ঢাকা: চলতি আইপিএলের উইকেট ব্যাটসম্যানবান্ধব। বেশির ভাগ ম্যাচেই দলগুলো অনায়াসে ২০০ রান পেরিয়ে যাচ্ছে। ২৫০ রানও কম হচ্ছে না। সেই রান আবার তাড়া করে জিতছেও!
গতকাল রাতেই যেমন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ২৬১ রান তাড়া করে পাঞ্জাব কিংস জিতেছে ৮ উইকেটে। টি-টোয়েন্টিতে এটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের বিশ্ব রেকর্ড।
তবে রান-বন্যার এই টুর্নামেন্ট নিয়ে খুশি হতে পারছেন না দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেট পরিচালক সৌরভ গাঙ্গুলি। লড়াইটা ঠিক ভারসাম্যপূর্ণ হচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে সৌরভ বলেছেন, ‘বোলারদের জন্য মোটেও সহজ নয়। তারা সবকিছুতেই ভুগছে এবং ব্যাট ও বলের (লড়াইয়ে) ভারসাম্য আনতে ভবিষ্যতে এই জায়গাটা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
তবে আয়োজকেরা বোলারদের কথা একদম ভাবেননি তা নয়। এবার আইপিএল শুরুর আগে নিয়ম করা হয়, বোলাররা ওভারপ্রতি দুটি করে বাউন্সার দিতে পারবেন। কেউ কেউ আওয়াজ তুলেছেন ইমপ্যাক্ট–সাব নিয়মের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, এতে অতিরিক্ত একজন ব্যাটসম্যান খেলানোর সুযোগ পাচ্ছে দলগুলো এবং তাতেই হু হু করে রান উঠছে। সব দলেই যেহেতু পাওয়ার হিটার আছে, তাই ২০০ থেকে ২৫০ রানও ডাল-ভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে!
ভারতের তিন সংস্করণের অধিনায়ক ও মুম্বাই তারকা রোহিত শর্মাই স্বয়ং ইমপ্যাক্ট-সাব নিয়মের বিপক্ষে। ‘ক্লাব প্রেইরি ফায়ার’ পডকাস্টে রোহিত বলেছিলেন, ‘ইমপ্যাক্ট-সাব নিয়মের আমি ভক্ত নই। এটা অলরাউন্ডারদের পেছনে টেনে ধরবে, আর দিন শেষে ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’
শুধু সৌরভ নন, আইপিএল যেন শুধুই ব্যাটসম্যানদের টুর্নামেন্টে পরিণত না হয়, সে জন্য এর আগে বিসিসিআইকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতের কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। সংবাদমাধ্যমকে সে সময় গাভাস্কার বলেছিলেন, ‘আমি যেটা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, প্রতিটি মাঠে বাউন্ডারির সীমানা বাড়ান... বাউন্ডারি একটু বাড়ালে ক্যাচ এবং ছক্কার পার্থক্য বোঝা যায়। এলইডি কিংবা বিজ্ঞাপন বোর্ড পিছিয়ে ২–৩ মিটার বাউন্ডারি বাড়ানো যেতেই পারে। যেটা পার্থক্য গড়ে দেবে। নয়তো বোলাররা ভোগান্তির মধ্যেই থাকবে।’
দিল্লি তাদের ঘরের মাঠে দুই ম্যাচে মোট ৪০০ রানের বেশি করেছে। সৌরভ আজও দিল্লির বড় সংগ্রহ নিয়ে আশাবাদী, ‘আমাদের ব্যাটিংও শক্তিশালী। আমরা ৪০০ রান দিলেও রানগুলো করেছি। এখানে (অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম) উইকেট ভালো, ব্যাটিংবান্ধব উইকেট।’
এআর