ঢাকা: ফুটবলার হিসেবে লিওনেল মেসির খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। কিন্তু ফুটবলের বাইরে যে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের অন্য একটা জগৎ আছে, সেটি কয়জনই বা জানেন। আর জানার কথাও না। কারণ, মেসির চোখজুড়ানো মাঠের পারফরম্যান্স নিয়েই সবাই ব্যস্ত। বাইরের জগতের খোঁজ নেওয়ার সময়ই বা কোথায়?
ফুটবল খেলার পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত আছে মেসি। এর আগে ২০২২ সালে কাপড়ের ব্যবসা চালু করেছিলেন তিনি। সেই ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতায় গেল মার্চে বাজারে নতুন হাইড্রেশন (জলযোজন) পানীয় আনার ঘোষণা দেন মেসি।
নতুন ব্রান্ডের এই হাইড্রেশন পানীয়ের নাম প্রকাশ না করলেও নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে সবকিছু জানিয়েছেন মেসি। গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের একাউন্টে একটি পোস্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা। সেই পোস্টেই নিজের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান মেসি।
মেসির শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও বেশকিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কারখানা পরিদর্শন করছেন মেসি। তাদের সঙ্গে আন্তক্রিয়াতে লিপ্ত হয়েছেন ৮ বারের ব্যালন ডিঅর জয়ী তারকা।
পোস্টে মেসি লেখেন, ‘আমাদের নতুন হাইড্রেশন ড্রিংকটি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন (জলযোজন) প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে মাত্রই ফিরলাম। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জলযোজন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে জেনেছি।’
নিজের মালিকানাধীন ব্যবসা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ডের দূত হিসেবে কাজ করে বিশাল অংকের অর্থ আয় করেন মেসি। যার মধ্যে জনপ্রিয় দুটি ব্রান্ড হলো অ্যাডিডাস ও পেপসিকো। চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাডিডাস থেকে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেন মেসি।
এছাড়া ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে প্লে টাইম স্পোর্ট-টেক নামের একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন মেসি। প্রতিষ্ঠানটি খেলাধুলায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে থাকে। তাছাড়া হোটেল ব্যবসা থেকেও বিশাল অংকের অর্থ আয় করেন মেসি।
এআর