ঢাকা: ১ মে বিশ্বকাপ স্কোয়াড দেওয়ার শেষ তারিখ হলেও ২৫ মে পর্যন্ত কোন কারণ ছাড়াই ইচ্ছামতন বদল আনা যাবে। আইসিসিতে একটা দল জমা দিলেও তাই এখনি ঘোষণা করার বাধ্যকতা নাই। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ- এই তিন টেস্ট খেলুড়ে দেশ নিচ্ছে এই সুবিধা। যেহেতু সুযোগ আছে জিম্বাবুয়ে সিরিজ পুরোটা দেখা হবে।
সৌম্য ছাড়াও উদ্বেগের জায়গা আরও আছে। তার একটি লিটন দাসের ফর্ম। এমনিতে লিটনকে নিয়ে ম্যানেজমেন্টের বেশিরভাগেরই কোন সংশয় নেই। তিনিই প্রথম পছন্দের ওপেনার। তবে ওয়ানডের ছন্দহীনতা টি-টোয়েন্টিতেও লিটন বয়ে বেড়াচ্ছেন কিনা তা নিয়ে কেউ কেউ সন্দিহান।
ম্যানেজমেন্টের বিশ্বাস লিটন দ্রুতই রানে ফিরবেন। কিন্তু কোন কারণে যদি তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতেই ব্যর্থ হন তবে কি হবে? বাঁহাতি হলেও তখন পারভেজ হোসেন ইমনের সুযোগ এসে যাবে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লিটন ভালো বলে আউট হয়েছেন বলে কিছুটা সহমর্মীতা পাচ্ছেন। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও সুবিধে করতে পারেননি।
উদ্বেগের জায়গা আছে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে নিয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তিনি যেমন বল করেছেন তাতে একদম খুশি নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। জিম্বাবুয়ে করেছে স্রেফ ১২৪ রান, এরমধ্যে ৪ ওভারে ৩৭ দিয়ে দেন রিশাদ। আলগা বল দিয়েছেন অহরহ।
ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনেও তাকে লেগেছিলো বিবর্ণ। আফিফ হোসেনের হাতে একাধিক বাউন্ডারি হজমের পর মাহমুদউল্লাহ বলছিলেন, 'ও উপরে (শর্ট) বল দিলেই মার খাবে।' রিশাদের আগ্রাসী ব্যাটিং সামর্থ্যই বিশ্বকাপ দলে থাকার জন্য যে যথেষ্ট হবে না তা স্পষ্ট।
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে চার পেসার, চার স্পিনার রাখার পরিকল্পনা আছে। যারা আছেন ভাবনায় প্রত্যেকেই ফিটনেস ও পারফরম্যান্স হরে রাখলে এই আটজন বোলারের মধ্যে সাকিব আল হাসানসহ চারজনই ব্যাটিং পারেন। কাজেই বোলিং অপশন বেশি রাখলেও ব্যাটিং দুর্বল হচ্ছে না। অলরাউন্ডার ছাড়াও তিন ওপেনার এবং আরও চার ব্যাটার মিলিয়ে স্কোয়াডে সাতটি ব্যাটিং অপশন থাকছে। তবে মূল ব্যাটাররা যদি সেরা ছন্দ না দেখান তবে বিশ্বকাপের আগে অস্বস্তি থেকে যাবে নির্বাচকদের।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :