ঢাকা: জিম্বাবুয়ে-কেনিয়াকে হারিয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে আছে উগান্ডা। সেই উগান্ডার কারণেই আবার ‘মান বাঁচল’ হয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের শান্ত।
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে উগান্ডার বিপক্ষে একবারই খেলেছে টিম বাংলাদেশ। সেটিও ২০০৭ সালে, কেনিয়ার মাটিতে। সেবার আশরাফুলের অধিনায়কত্বে পূর্ব আফ্রিকার দেশটিকে ২১ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আর উগান্ডার বিপক্ষে খেলা হয়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। সেই দলের কেউই এখন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে নেই, এমনকি অনেক ক্রিকেটারই অবসর নিয়ে ফেলেছে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, উগান্ডার কারণে তাহলে কীভাবে ‘মান রক্ষা’ হয় বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। স্পষ্ট করে বললে উগান্ডার অধিনায়কের কারণেই উপকার হয়েছে শান্তর। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে চলা ২০ দলের অধিনায়কদের মধ্যে ব্যাট হাতে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেটের তালিকায় ১৯ নম্বরে আছেন শান্ত। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইক রেট ১১১.০৬। তার নিচে আছেন শুধু উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। তার স্ট্রাইক রেট ১০৭.৯৪। যদিও শান্ত পুরোদস্তুর ব্যাটার হলেও উগান্ডার অধিনায়ক মাসাবা মূলত একজন বোলার।
মাসাবা অধিনায়ক হিসেবে আবার বেশ সফল। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায় পাকিস্তানের বাবর আজমের সঙ্গে তিনিই যৌথভাবে শীর্ষে। বাবর-মাসাবা দুজনেরই নেতৃত্বে পাকিস্তান ও উগান্ডা এখন পর্যন্ত সমান ৪৪টি করে ম্যাচ জিতেছে।
আফ্রিকান অঞ্চলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে জিম্বাবুয়েকেই সবাই ফেবারিট ভেবেছিলেন। কিন্তু বাছাইপর্বে ফেভারিট জিম্বাবুয়েকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বেও জায়গা করে নেয়। যদি উগান্ডার জায়গায় জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করত, তাহলে অধিনায়কদের মধ্যে স্ট্রাইক রেটে তলানিতে পড়ে থাকতেন শান্ত। কারণ, জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সিকান্দার রাজার স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৭৮, যা শান্তর চেয়ে অনেক বেশি।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০ দলের অধিনায়কদের মধ্যে শান্তর ঠিক ওপরে আছেন আসাদ ভালা। পাপুয়া নিউগিনির এই অধিনায়কের স্ট্রাইক রেট ১২০.৩৪। এ তালিকায় সবার ওপরে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তার স্ট্রাইক রেট ১৫০.৬৭।
এই তালিকায় ২ থেকে ১৭ নম্বরে থাকা বাকিরা হলেন- রভম্যান পাওয়েল (উইন্ডিজ) ১৪৪.৮১, জস বাটলার (ইংল্যান্ড) ১৪৪.৬১, রোহিত শর্মা (ভারত) ১৩৯.৯৮, সাদ বিন জাফর (কানাডা) ১৩৯.২৭, মিচেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া) ১৩৫.৩৫, পল স্টার্লিং (আয়ারল্যান্ড) ১৩৫.২০, মোনাঙ্ক প্যাটেল (যুক্তরাষ্ট্র) ১৩৩.৯১, রিটি বেরিংটন (স্কটল্যান্ড) ১৩২.৩২, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা) ১৩০.৫২, বাবর আজম (পাকিস্তান) ১২৯.৪২, রশিদ খান (আফগানিস্তান) ১২৮.৭৫, আকিব ইলিয়াস (ওমান) ১২৭.৩৪, কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড) ১২৩.৫২, গেরহার্ড এরাসমাস (নামিবিয়া) ১২২.৯৫, স্কট এডওয়ার্ডস (নেদারল্যান্ডস) ১২১.৫৬।
এআর