ঢাকা: বিরাট কোহলির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু জবাবটা ব্যাট হাতেই দিয়েছেন ভারতীয় দলের এ তারকা।
চলতি আইপিএলে এখনও সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক কোহলি। ফলে বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিতে আর বেগ পেতে হয়নি। এর ভেতরই অবসর নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে কোহলিকে, যেখানে তিনি ক্রিকেট ছাড়ার পর আড়ালে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আইপিএলের শুরু থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলে আসছেন কোহলি। যদিও দলটি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সাফল্য পায়নি। তাদের সফলতা বলতে কেবল এক আসরে রানার্স-আপ হওয়া। তবে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে উজ্জ্বল সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬৬১ রান করেছেন কোহলি। ৬৬.১০ গড় এবং ১৫৫.১৫ স্ট্রাইকরেটে তিনি ব্যাট করেছেন।
বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্জাইজির একটি অনুষ্ঠানে নিজের অবসর নিয়ে কথা বলেছেন কোহলি। সেখানে দলটির ডানহাতি ওপেনার বলেন, ‘সহজ কথায় বলতে গেলে আমি কোনো আক্ষেপ রেখে যেতে চাই না। মাঠ থেকে যা যা পাওয়ার, নিয়ে যেতে চাই। যতদিন খেলব নিজের সবটাই দিয়ে যাব, কিন্তু যখন খেলাটা শেষ করব, তখন চলে যাব, আপনারা আমাকে অনেক দিনের জন্য দেখবেন না (হাসি)।’ মাঝে তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনায় মেতেছিলেন স্বদেশি কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। তবে সেই সমালোচনার জবাব আকার-ইঙ্গিতে প্রকাশের পাশাপাশি কোহলি মাঠেও দিয়েছেন।
প্রতি ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়ার তাড়না কোথায় পান-এই প্রশ্নে কোহলির উত্তর, ‘বিষয়টা সহজ। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের ক্যারিয়ারের শেষ আছে। এটা ভেবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই না-ওহ! ওই দিন যদি ওটা করতাম! কারণ, সারা জীবন তো খেলে যেতে পারব না। এটা আসলে অসমাপ্ত কাজ রেখে না যাওয়ার বিষয়, পরে অনুশোচনায় না ভোগার বিষয়, যেটা আমি নিশ্চিত, ভুগব না।’
২০০৮ সালে কোহলির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। বাকি ফরম্যাটগুলোয় তার ভবিষ্যত কী হবে, সেটি না জানা গেলেও সম্ভবত এই আসর শেষেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেবেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসেও সর্বোচ্চ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ২৫ ইনিংসে অবিশ্বাস্য গড় ৮১.৫০ আর ১৩১.৩০ স্ট্রাইকরেটে কোহলি ১১৪১ রান করেছেন। বর্তমানেও দারুণ ফর্মে থাকা এই মেজাজ নিশ্চয়ই যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজেও নিয়ে যেতে চাইবেন ভারতীয় এই অভিজ্ঞ মাস্টার ব্যাটার।
এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে-সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কোহলি হয়তো টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন বলে ধারণা অনেকের। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা কম। কারণ কোহলি যে ধরনের আগ্রাসী মনোভাব রাখেন, তাতে তার পক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলার যে লড়াই বা মজা, তার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে টেস্ট খেলার মানসিকতা খুব বেশিদিন থাকবে না। সেক্ষেত্রে আপাদমস্তক ফ্যামিলিম্যান কোহলি পরিবারের সঙ্গেই সময় দেওয়াকে বেছে নিতে পারেন।
এআর