ঢাকা: বাংলাদেশের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল যুক্তরাষ্ট্র। তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে নিল নবাগত এই দল।
ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। যে কারণে আজ তাদের সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচ লড়াই ছিল। ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমেও হেরে গেছে টাইগাররা।
শেষ ২৪ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। সাকিব আল হাসান, জাকের আলির ব্যাটাররা তখনও উইকেটে ছিলেন। সেখান থেকে ১৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১২ রান, হাতে মাত্র এক উইকেট। আলি খানের করা ওভারের প্রথম ২ বলে ৫ রান নিলেও তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন রিশাদ হোসেন। তাতে ৬ রানের জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ঘরে তুললো স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজটিই জিতে নিলো দেশটি। লক্ষ্য ছিল ১৪৫ রানের। শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। দলীয় ১ রানের মাথায় বাঁহাতি পেসার নেত্রাভাকারকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
তানজিদ হাসান তামিম শুরুটা করেছিলেন ভালো। কিন্তু ১৫ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৯ করে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেটে থাকেন অনেকটা সময়। তবে তার ইনিংসটি ঠিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না।
৩৪ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৩৬ রান করে তাওহিদ হুদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে তিনি হন রানআউটের শিকার। ২১ বলে এক ছক্কায় ২৫ রানের বেশি এগোতে পারেননি হৃদয়ও। ইনসাইডেজে তিনি বোল্ড হন অ্যান্ডারসনের বলে। এর এক ওভার পর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহও (৪ বলে ৩) বোল্ড হলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ১০৬ রানে হারায় ৫ উইকেট।
আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব আল হাসান হাল ধরেন। দল যখন জয় থেকে ২১ রান দূরে, ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন জাকের আলি (৫ বলে ৪)। ৪ বলের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
২৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩০ রান করে আলি খানের বলে ইনসাইডেজে বোল্ড হয়ে যান সাকিবও।
এর আগে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান তোলে যুক্তরাষ্ট্র।
এআর