ঢাকা: সোহাগ-কাণ্ডে অবশেষে ফেঁসে গেলেন সালাম মুর্শেদীও। গত বছর আর্থিক অনিয়ম ও ক্রয়-সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।
এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও অর্থ কমিটির প্রধান সালাম মুর্শেদীকে সে ঘটনায় জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা।
এর প্রেক্ষিতে আজ এক বিবৃতিতে সালাম মূর্শেদী বলেন, 'বাফুফের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত করছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা, যার প্রেক্ষিতে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে এথিক্স কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি শুনানির আয়োজন করে।
যেখানে আমার বিরুদ্ধে ফিফার অনুচ্ছেদ ১৪, ১৬ ও ২৫ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। ' 'উক্ত শুনানিতে আমি জনাব সালাম মূর্শেদী নিজেই আমার আইনজীবীদের সঙ্গে উল্লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করার পক্ষে অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য যুক্তি স্থাপন করি।
ফলস্বরুপ, ৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে ফিফা এথিক্স কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার কর্তৃক গৃহীত পরবর্তী সিদ্ধান্তে আমার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগের মধ্যে দুটি যথাক্রমে খারিজ করে দেয়। '
'সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, ফিফার এথিক্স কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার কর্তৃক অধিকতর তদন্তের পর আমার বিপক্ষে আনা মোট তিনটির মধ্যে অনৈতিক কার্যক্রম এবং জালিয়াতি বা মিথ্যাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি অভিযোগের কোনো ভিত্তি পায়নি ফিফা। ক্রয় প্রক্রিয়ায় চারজন স্বাক্ষরকারীর মধ্যে দুইজনকে ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দীনের সরাসরি জড়িত না থাকায় তাকে খারিজ করা হয়েছে। তবে আমি যেহেতু ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সে কারণেই আমাকে গুনতে হচ্ছে ন্যূনতম আর্থিক জরিমানা। '
তহবিল নিয়ে অনিয়মের কারণে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে গত বছরের এপ্রিলে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। তবে গতকাল সেই নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে তিন বছর করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও সাবেক অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে আর্থিক জরিমানাসহ সব ধরনের ফুটবল থেকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :