ঢাকা : পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওভারে কোনো রান না দিয়ে পেলেন একটি উইকেট। দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিজের পরের তিন ওভারে তিনি ধরলেন আরও ৫ শিকার, গড়লেন রেকর্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ মাত্র ১০ রানে ৬ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো ম্যাচে ৬ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার।
২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিনার ইলিয়াস সানির ১৩ রানে ৫ উইকেট ছিল আগের সেরা বোলিং।
সব মিলিয়ে এই সংস্করণে সেরা বোলিংয়ের তালিকায় মুস্তাফিজের অবস্থান সপ্তম। গত বছর চীনের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদরুস।
এই সংস্করণে দ্বিতীয়বার ৫ বা এর বেশি উইকেট পেলেন মুস্তাফিজ। এই কীর্তি গড়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার তিনি। প্রথম জন সাকিব আল হাসান। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুবার ৫ উইকেট নেওয়া বোলার ১৮ জন।
টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে শনিবার উইকেট মেডেন দিয়ে বোলিং শুরুর পর দশম ওভারে ফের আক্রমণে আসেন মুস্তাফিজ। এবার চতুর্থ বলে দারুণ অফ কাটারে নিতিশ কুমারকে ফেরান তিনি।
এরপর ডেথ ওভারে ডাক পড়ে অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসারের। ১৮তম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তিনি। তৃতীয় বলে ভেতরে ঢোকানো ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন শ্যাডলি ফন স্কালকয়েককে। এক বল কাট করতে গিয়ে বল স্টাম্পে টেনে আনেন কোরি অ্যান্ডারসন।
ইনিংসের শেষ ওভারের শুরুতে দুটি ওয়াইড দেন মুস্তাফিজ। তবে এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান। চতুর্থ বলে তার অসাধারণ ইয়র্কারে বোল্ড হন জাসদিপ সিং। আর শেষ বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন নিসার্গ প্যাটেল।
মুস্তাফিজের তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানের বেশি করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর অভিযানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জটা তাই তুলনামূলক সহজ।
এমটিআই