ঢাকা : সাকিব আল হাসানের ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারিতে আন্দ্রেস গাউসের ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে গেল শর্ট কাভারের দিকে। সামনে লাফিয়েও ক্যাচ নিতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। সে দফায় উইকেট না পেলেও বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি সাকিবকে। এক বল পরই সৌম্য সরকারের দারুণ ক্যাচে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পান বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তার নাম উঠে যায় ইতিহাসের পাতায়।
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে শনিবার (২৫ মে) যুক্তরাষ্ট্রের গাউসকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০০ উইকেট পূর্ণ হয় সাকিবের। এর সঙ্গে ব্যাট হাতে তার নামের পাশে রয়েছে ১৪ হাজার ৫১৫ রান।
সুদীর্ঘ ক্রিকেট ইতিহাসে সাতশ উইকেট ও ১৪ হাজার রানের 'ডাবল' ছোঁয়া একমাত্র ক্রিকেটার সাকিব। এমনকি ছয়শ উইকেট ও ১২ হাজার রানও নেই আর কারও।
বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে তিন সংস্করণ মিলিয়ে সাতশ উইকেট নিলেন সাকিব। সব মিলিয়ে বিশ্বের ১৭তম বোলার তিনি, স্পিনারদের মধ্যে সপ্তম। আর বাঁহাতি স্পিনে তার আগে এই কীর্তি শুধুমাত্র ড্যানিয়েল ভেট্টরির।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেই সাতশত উইকেটের দুয়ারে পৌঁছে যান সাকিব। ওই সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ ওভারে ৯ রানে তিনি নেন ১ উইকেট। সেটি ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ৬৯৯তম উইকেট।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে প্রথম দুই ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ে কোনো উইকেট পাননি তিনি। টেক্সাসের প্রেইরি ক্রিকেট কমপ্লেক্সে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের শুরুটাও তেমন ভালো ছিল না তার। তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ছক্কা হজম করেন সাকিব।
তার দ্বিতীয় ওভারে ছক্কা মারেন আরেক ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গির। পরে জীবন পেয়ে চার মারেন গাউসও। ওই ওভারের শেষ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন গাউস। লং অন থেকে অনেকটা দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নেন সৌম্য।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১২২ ম্যাচে সাকিবের ১৪৬তম উইকেট এটি। এই সংস্করণে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে শুধু টিম সাউদির, ১২৩ ম্যাচে ১৫৭টি। দুজনই বোলিং করেছেন সমান ১২০ ইনিংস।
এছাড়া টেস্টে ১১৩ ইনিংসে ২৩৭ ও ওয়ানডেতে ২৪১ ইনিংসে সাকিবের শিকার ৩১৭ উইকেট। আর ব্যাট হাতে টেস্টে ১২৩ ইনিংসে ৪ হাজার ৫০৫, ওয়ানডেতে ২৩৪ ইনিংসে ৭ হাজার ৫৭০ ও টি-টোয়েন্টিতে তার সংগ্রহ ১২০ ইনিংসে ২ হাজার ৪৪০ রান।
এমটিআই