ঢাকা: সাকিবের বয়স এখন ৩৭। এই বয়সে যেখানে ক্রিকেটাররা অবসরের কথা চিন্তা করেন। সেখানে সাকিব ব্যতিক্রম। অনেকে ভেবেছিলেন এটিই হয়তো সাকিবের শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু এই অলরাউন্ডার জানিয়ে দিলেন নিজের লক্ষ্যের কথা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ সময় ২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চান বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু ২০০৭ সালে। তখন থেকে এ পর্যন্ত সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলেছেন সাকিব। তার সঙ্গে এই কীর্তি আছে শুধু ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার।
বিশ্বকাপে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে বিসিবির ধারাবাহিক ভিডিও সিরিজ ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’তে সাকিব আরও একটি বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছার কথা হাসতে হাসতে বলেছেন এভাবে, ‘প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলো সবগুলোতেই অংশ নিতে পেরেছি। আমার জন্য এটা গর্বের ও আনন্দের। একই সময়ে যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, অনেক ভালো লাগার একটা জায়গা আছে। আমি এবং রোহিত শর্মাই হয়তো মাত্র দুজন খেলোয়াড় যারা সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে।
আশা করব আরও একটি বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সটা যেন ভালো থাকে। বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যে কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো ফল করে আসতে পারে।’
ভিডিওতে সাকিব উত্তর দিয়েছেন কাগজে লেখা কয়েকটি প্রশ্নের। সে প্রশ্নগুলোও নিজেই পড়ে শুনিয়েছেন। এর একটি ছিল এমন, ‘অনেকেই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র সাকিবের “সেকেন্ড হোম” (দ্বিতীয় ঘর)। ঘরের সুবিধা কি পাবে দল?’
পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাকিব হাসতে হাসতে এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘আমার সেকেন্ড হোম ঠিক আছে। তবে হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে কি না বলাটা মুশকিল।
কিন্তু আমার মনে হয় পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকা, এ দুটো জায়গাতেই আমরা, এর আগে ফ্লোরিডায় যখন খেলেছি বাংলাদেশ ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা সব সময়ই সুবিধা পাই। কারণ পিচগুলো অনেকটা আমাদের মতোই হয়ে থাকে। তাই আমি আশা করছি দুই জায়গাতেই আমরা সুবিধা পাব।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উত্থানের সমসাময়িক সাকিবের ক্যারিয়ার। তিনটি সংস্করণের মধ্যে টি-টোয়েন্টিই এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়।
এই পরিবর্তন কীভাবে দেখেন সাকিব, এমন একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এটা ওয়ানডেরই বর্ধিত সংস্করণ। ওভার কাটলে যেটা হতো সেটাই। অনেক রোমাঞ্চকর। দর্শকেরা অনেক পছন্দ করেন। আমি একটি জিনিসই শুধু মনে করি যে ব্যাট ও বলের যেন সমান প্রতিযোগিতা এখানে থাকে। যেকোনো একতরফা যেন টুর্নামেন্টটা না হয়। সাধারণত বিশ্বকাপে কখনোই সেটা হয় না। আমি মনে করি এবারও একইরকম হবে।’
এআর