ঢাকা: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে গতকাল দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। বাবর আজমদের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে জস বাটলাররা ১৬তম ওভারেই জয়ের দেখা পেয়ে যান। ফিল সল্ট ও বাটলারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে ইংলিশরা। পাকিস্তানের এমন বড় ব্যবধানে হারের পর উইকেটকিপার আজম খানকে ধুয়ে দিয়েছেন সমর্থকেরা।
আজম খান অবশ্য নিজেই তার পারফরম্যান্স দিয়ে সমর্থকদের সে সুযোগ করে দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আজম ভালো পারফর্ম করলেও জাতীয় দলের জার্সিতে হতাশ করেছেন তিনি। গতকাল ৫ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শুধুই রান যে পাননি তা নয়, উইকেটের পেছনে সহজ দুটি ক্যাচও ছেড়েছেন আজম খান।
প্রথমে ব্যাটে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর উইকেটকিপার হিসেবেও ব্যর্থ আজম এবার সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন। ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের পর পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি প্রশ্ন তুলেছিলেন আজমের ফিটনেস নিয়ে।
আফ্রিদি জানিয়েছিলেন, তিনি আজমের উইকেটকিপিং নিয়ে চিন্তিত। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে কিপারের কাছে বল অনেক উঁচুতে যায়, আজমের ফিটনেসের জন্য তিনি বল ঠিকমতো ধরতে পারবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। অবশেষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে আফ্রিদির শঙ্কা বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
আজমের এমন বাজে পারফরম্যান্সের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজমের বিশ্বকাপ দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমর্থকেরা। সেই সঙ্গে অনেকেই দাবি করছেন আজমের জায়গায় অন্য কাউকে দলে নেওয়ার জন্য। রিজওয়ানের মতো উইকেটকিপার দলে থাকার পরও কেন আজম কিপিং করছেন - তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। পাকিস্তানের ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট পাকপ্যাশনের সম্পাদক সাজ সাদিকই টুইটে লিখেছেন, ‘আপনার দলে বিশ্বের সেরা উইকেটকিপারদের একজন রিজওয়ান আছে, অথচ আপনি কিপিং গ্লাভস কিনা তুলে দিচ্ছেন আজম খানের হাতে!’
ইয়াং গোই নামে একজন গতকাল হারিস রউফের বলে আজমের সহজ ক্যাচ মিসের ভিডিও দিয়ে লিখেছেন, ‘আজম খান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্যই বিব্রতকর!’ মুবাশ্বের লুকমান নামের আরেকজন তো পাকিস্তান দলকে ধুয়েই দিয়েছেন সাবেক উইকেটকিপার মঈন খানের ছেলে আজম খানকে দলে নেওয়ার কারণে। টুইটে লিখেছেন, ‘আমাদের দেশে স্বজনপ্রীতি কোন পর্যায়ে সেটার একটা বড় উদাহরণ আজম খান। এখানে সব জায়গাতে সবকিছুই গড়পড়তা! ওকে (আজম) দলে রাখার ব্যাপারে যারা চাপাচাপি করে যান, সেই নির্লজ্জ মানুষগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাদেরই শাস্তি দেওয়া উচিৎ। এটা কোনো সাধারণ ভুল নয়, শাস্তিযোগ্য অপরাধ!’
ম্যাচ শেষে বাবরকেও প্রশ্ন শুনতে হয়েছে দলে আজম খানের জায়গা নিয়ে। পাশাপাশি অবশ্য শাদাব খানের জায়গা নিয়েও প্রশ্ন হয়েছে। জবাবে বাবর বললেন, ‘যখন কোনো খেলোয়াড়কে দলে না নিই, আপনারা প্রশ্ন করেন কেন ওকে দলে নিলাম না। আবার দলে নিলে প্রশ্ন করেন কেন নিলাম!’
এআর