ঢাকা: শেষ হচ্ছে অপেক্ষার প্রহর। ২০২৪ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে শক্তিশালী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ম্যাচটি শনিবার রাত ১টায় লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সেমিফাইনালে জার্মানির সবচেয়ে বড় ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
অন্যদিকে ফরাসি ক্লাব পিএসজিকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ডর্টমুন্ড। এর আগে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলে ডর্টমুন্ড। সেবার ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতে জার্মান ক্লাবটি।
এরপর দ্বিতীয় বারের মতো ২০১২-১৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলে ডর্টমুন্ড। সেবার স্বদেশী ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-১ গোলে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় ক্লাবটির। সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। কাকতালীয় ভাবে এবারও লন্ডনের এই মাঠে ফাইনালে নামবে ডর্টমুন্ড। যদিও এবার প্রতিপক্ষ ভিন্ন। ১১ বছর আগের চোখের অশ্রু দিয়ে ভিজেছে যে সবুজ গালিচা। এবার সেখানে দাঁড়িয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতে উঠতে পারবে কি না ডর্টমুন্ডের ফুটবলার থেকে শুরু করে সমর্থকরা?
অন্যদিকে চলতি মৌসুমে রীতিমতো উড়ছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরই মধ্যে এবারের মৌসুমে লা লিগার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। তাইতো তাদের চোখ এখন চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপার ওপর। এর আগে সর্বশেষ ২০২১-২২ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় টনি ক্রুস-লুকা মদ্রিচেরা। এছাড়াও গেল আসরের সেমিফাইনাল খেলে দলটি। আসরটিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে বিদায় নেয় আনচেলত্তির শিষ্যরা।
যদিও এবারের আসরে ফাইনালে ফেভারিটের তকমা গায়ে জড়িয়ে মাঠে নামবে রিয়াল। এই ম্যাচে রিয়ালের ট্রাম কার্ড হতে পারেন ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। মাত্র তিন দিন আগে লা লিগার এবারের আসরের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি। তাইতো এই ম্যাচে বাড়তি নজর থাকবে ২০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের দিকে। সেই সঙ্গে শক্তি ও অভিজ্ঞা দুই দিক থেকে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নদের থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে ১ বারের চ্যাম্পিয়ন এডিন টেরজিকের শিষ্যরা।
এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে এখন পর্যন্ত মোট ১৪ বার মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। সেই সব দেখায় রিয়াল মাদ্রিদের ৬ জয়ের বিপরীতে ডর্টমুন্ডের জয় ৩টি ম্যাচে। বাকি ৫টি ম্যাচ ড্র হয়। তবে মাঝে মাঝে মাঠে খেলায় পরিসংখ্যান-অভিজ্ঞাকে পাস কাটিয়ে তৈরি করে নতুন ইতিহাসের। জন্ম দেয় নতুন রূপকথার। হয়তো এমন একটি দিনের অপেক্ষা ডর্টমুন্ড।
এআর