ঢাকা: ১৫তম বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপ সেরার পুরস্কার ঘরে তোলে কার্লো আনচেলত্তির দল। শিরোপা জয়ের পর এই কোচ বললেন, ভাবনার চেয়েও কঠিন ছিল কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানোর যাত্রা।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৫তম শিরোপা জিতে নেয় রেয়াল। প্রথমার্ধে চাপে কোণঠাসা রেয়াল স্বরূপে ফেরে ৭৪তম মিনিটে দানি কারভাহালের দুর্দান্ত হেডে। এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিউস জুনিয়র।
নকআউট পর্বের শুরু থেকেই রেয়ালকে পেরোতে হয়েছে একের পর এক বড় বাধা। লাইপজিগকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে তারা মুখোমুখি হয় গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির। পেপ গুয়ার্দিওলার দুর্বার সিটির বিপক্ষে টাইব্রেকারে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে উঠে আসে সেমি-ফাইনালের মঞ্চে। সেখানে দেখা আরেক জার্মান দল বায়ার্ন মিউনিখের।
দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় বায়ার্নকে পেছনে ফেলার পর ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ফাইনাল। পাল্টা আক্রমণ নির্ভর খেলা জার্মান দলটির বিপক্ষে শুরুতে রেয়াল ছিল বিবর্ণ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে চেনা চেহারায় ফিরে অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছায় তারা। চূড়ায় পৌঁছে আনচেলত্তি পেছন ফিরে তাকালেন।
“আমি কখনই এগুলোর সঙ্গে অভ্যস্ত হতে পারি না। কেননা, এটা (এই পথচলা) কঠিন ছিল, খুবই কঠিন, প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো খেললাম, আরও বেশি ভারসাম্যপূর্ণ দল ছিলাম, বল কম হারালাম…এটা একটা স্বপ্ন, যেটা ছুটছে তো ছুটছেই।”
মুভিস্টার প্লাসের সঙ্গে আলাপচারিতায় ম্যাচের ডেডলক খোলা কারভাহাল নিজেদের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। 'প্রথমার্ধে আমরা একটু আয়েশি ছিলাম। বল হারাচ্ছিলাম এবং এতে তারা (ডর্টমুন্ড) যেমনটা চেয়েছিল, সেভাবে খেলতে পারল।'
'প্রথমার্ধে অমন পারফরম্যান্সের পর, আমরা এমনকি সমতায় থেকে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার যোগ্যও ছিলাম না…কিন্তু এটাই ফুটবল এবং আমরা খুব, খুব খুশি।'
এআর