ঢাকা: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে উন্মাদনা-উত্তেজনা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। দুই দেশের ক্রিকেটঅন্তর্ভুক্তির পর থেকেই এমনটি হয়ে আসছে।
২০১৩ সালের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন বন্ধ হওয়ায় ভারত-পাকিস্তানের দেখা হয় শুধু আইসিসির ইভেন্টগুলোতে। যে কারণে আইসিসি আয়োজিত এমন কোনো ম্যাচ আসলেই উৎসুক দর্শকের মনে শুরু হয় উত্তেজনা।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই গ্রুপে পড়েছে ভারত-পাকিস্তান। যে কারণে গ্রুপপর্বেই খেলা আছে দুই দলের। আগামী ৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের খেলায় উত্তেজনা থাকাটা স্বাভাবিক, তবুও এই ম্যাচে নিজেদের শান্ত রাখার কথা বলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি জানেন, এই ম্যাচ দেখার জন্য অনেক ভক্ত উৎসুক মনে অপেক্ষা করছেন। প্রিয় দলের কাছে ভালো কিছু আশা করছেন।
তবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বেশি উত্তেজনা অনুভব না করে খেলায় ও নিজেদের দক্ষতায় মনোযোগী হওয়াকেই যু্ক্তিযুক্ত বলে মনে করেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর।
বাবর বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিকে পুরো বিশ্বের দৃষ্টি নিবদ্ধ। স্বাভাবিকভাবেই নাড়ির চাপ থাকবে। তবে আমাদের মূল লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে। মৌলিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে লেগে থাকতে হবে। সহজ ক্রিকেট খেলতে হবে। এটা সবসময় একটি চাপযুক্ত খেলা; আপনি যত বেশি শান্ত থাকবেন এবং দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করবেন, তখন জিনিসগুলো সহজ হয়ে যাবে।’
বিশ্বকাপের আশে পাকিস্তানের শেষ প্রস্তুতিটি ভালো হয়নি। ইংল্যান্ডের কাছে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে এসেছে তারা। এরপর কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা ছাড়াই আসরের মূল খেলা শুরু করবে বাবরের দল। তবে প্রস্তুতি তেমন ভালো না হলেও বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বাবর।
বাবর বলেন, ‘আমি খুশি এবং উত্তেজিত। কারণ আপনি যখন একটি বড় ইভেন্টে খেলতে যান, তখন আপনার মধ্যে আলাদা উত্তেজনা থাকে। বিশ্বকাপে খেলা যে কোনো ক্রিকেটারের লক্ষ্য। তাই এই ধরনের অনুভূতি আমার মধ্যেও আছে। ট্রফি জেতাটাই সবসময় আশা থাকবে। কিন্তু সেটা হতে হলে আমাদের সব দলের বিপক্ষেই সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।’
এর আগে কখনো যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে যায়নি পাকিস্তান দল। যে কারণে সেখানকার কন্ডিশন একেবারেই অজানা বাবরদের। এছাড়া খেলেননি কোনো প্রস্তুতি ম্যাচও। যে কারণে মূল পর্বের খেলার শুরুর আগে কিছুটা হলেও শঙ্কা আছে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের।
এ বিষয়ে বাবর বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। কারণ আমরা সেখানে প্রথমবারের মতো জাতীয় দল হিসেবে যাচ্ছি। সেখানে যেসব খেলোয়াড়রা আগে খেলেছেন তাদের কাছ থেকে ক্রিকেট ও ম্যাচ-সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি। যা আমাদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করতে পারে এবং সহায়তা করতে পারে।’
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। এরপর ভারত, কানাডা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাবর আজমরা।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :