ঢাকা: এবারের টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের অন্যতম বড় ম্যাচ হিসেবে ধরা হয়েছিল শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচও। গতকাল নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি নিয়ে তাই দর্শকদের প্রত্যাশাও ছিল অনেক।
কিন্তু মাঠের খেলায় অন্তত শুরুতে টি-টোয়েন্টির সেই আমেজ পাওয়া গেল না। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়াদের আগুনে বোলিংয়ের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। পেসবান্ধব কন্ডিশনে আনরিখ নর্কিয়াদের তোপে শ্রীলঙ্কা ১৯.১ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ৭৭ রানে। তবে এই রান করতেও দক্ষিণ আফ্রিকার ১৬.২ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে এইডেন মার্করামের দল।
পাওয়ারপ্লেতেই রিজা হেনড্রিকস ও মার্করাম ড্রেসিংরুমে ফিরে যান, দ্রুত রানও তুলতে পারেনি দলটি। মাত্র ২৭ রান এসেছে প্রথম ৬ ওভারে। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় রক্ষা। ছোট দুটি জুটি মানেই দক্ষিণ আফ্রিকায় জয়। প্রথমে কুইন্টন ডি কক (২০) ও ত্রিস্তান স্টাবস (১৩) ২৮ রান যোগ করেন। হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার মিলে বাকি কাজটা সারেন। ক্লাসেন ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন, ৬ রান করেন মিলার।
শ্রীলঙ্কাও পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ২৪ রান নিতে পেরেছে, বাউন্ডারি মাত্র ২টি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কাকে (৩) থামিয়েছেন ওটনেইল বার্টম্যান। তিনে নামা কামিন্দু মেন্ডিসও (১১ রান) অষ্টম ওভারে নর্কিয়ার বলে ‘ফ্লিক’ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ তোলেন। লঙ্কানদের পরের ধাক্কাটা দিয়েছেন কেশব মহারাজ। ৯ম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও সাদিরা সামারাবিক্রমাকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান দক্ষিণ আফ্রিকার এই বাঁহাতি স্পিনার। শ্রীলঙ্কার রান তখন ৪ উইকেটে ৩২।
দ্রুতই সেই স্কোর হয়ে যায় ৪০ রানে ৫ উইকেট। দশম ওভারে নর্কিয়ার বাউন্সারে পুল খেলতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ তোলেন কুশল মেন্ডিস, তার ১৯ রান আসে ৩০ বলে। লঙ্কান ব্যাটিংয়ে এরপর আরও দুবার আঘাত হানেন নর্কিয়ে।
দ্বিতীয় স্পেলে এসে আরও দুই উইকেট নিয়েছেন রাবাদাও। দুই গতি তারকার বোলিংয়েই উড়ে গেছে লঙ্কান লোয়ার অর্ডার। মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন নর্কিয়া, যা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলিং ফিগার। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রাবাদা ও মহারাজ।
এআর