ঢাকা : দুই দলের শক্তি-সামর্থ্য, ফুটবল ঐতিহ্য এবং ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে যেমন বিস্তর ফারাক, মাঠের লড়াইয়েও তা বেশ ফুটে উঠল। স্পেনকে প্রথমার্ধে অবশ্য ভালোই আটকে রেখেছিল পুঁচকে অ্যান্ডোরা। তবে বিরতির পর আর পারল না দলটি। একের পর এক জালে বল পাঠিয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আগে শেষ প্রস্তুতিপর্বে বুধবার রাতে ৫-০ গোলে জিতেছে স্প্যানিশরা। বদলি নেমে হ্যাটট্রিক করেছেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। তার হ্যাটট্রিকের আগে ও পরে গোল দুটি করেন আইওসে পেরেস ও ফেররান তরেস।
উয়েফা নেশন্স লিগ জিতে এবং এর আগে-পরে টানা জয়ের পথে থেকেই গত বছর শেষ করেছিল স্পেন। কিন্তু ইউরোর বছরের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি তাদের। গত মার্চে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হারের স্বাদ পায় তারা। ওই মাসেই আরেক প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে দুই দফায় এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩-৩ ড্র করে ২০০৮ ও ২০১২ ইউরোর চ্যাম্পিয়নরা।
ইউরোপ সেরার ট্রফি পুনরুদ্ধারের অভিযানে নামার আগে তাই নিজেদের গুছিয়ে নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ স্পেনের জন্য। সেই লক্ষ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৬৪ নম্বর দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে শুরুটা তেমন আশানুরূপ হয়নি তাদের।
গোল অবশ্য ২৪তম মিনিটেই পেয়ে যায় দলটি। পাও কুবারসির হেড পাস পেয়ে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন জাতীয় দলে অভিষিক্ত পেরেস।
শুরু থেকেই বল দখলে রাখার পাশাপাশি আক্রমণেও একচেটিয়া আধিপত্য করে স্পেন। পুরো ম্যাচে ৮০ শতাংশের বেশি সময় পজেশন ধরে রেখে আক্রমণ চালিয়ে যায় তারা। কিন্তু বিরতির আগে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আলভারো মোরাতার বদলি নামার আট মিনিটের মধ্যে গোল উৎসব শুরু করেন ওইয়ারসাবাল। দারুণ পাসিং ফুটবলে শাণানো আক্রমণে খুব কাছ থেকে ফ্লিকে নিজের প্রথম গোলটি করেন তিনি।
১২ মিনিট পর প্রতি আক্রমণে সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে অনায়াসে স্কোরলাইন ৩-০ করেন রেয়াল সোসিয়েদাদের এই ফরোয়ার্ড। ৭৩তম মিনিটে জটলার মধ্যে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ওইয়ারসাবাল।
আর ৮১তম মিনিটে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড তরেস কোনাকুনি শটে দলের শেষ গোলটি করেন।
ইউরোর আগে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বর দল স্পেন। আগামী শনিবার নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা।
এমটিআই