ঢাকা: সব ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন দিনের আশায় বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ। এই যাত্রায় প্রথম বাধা শ্রীলঙ্কা। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে শনিবার ভোর সাড়ে ৬টায় লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাজে ফর্মে থাকলেও বিশ্ব আসরে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। বিশ্বকাপের আগে আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ।
এরপর প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছেও ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখে শান্ত-লিটনরা। বিশেষ করে দলের ব্যাটিং অর্ডার ভোগাচ্ছে অনেক। রান পাচ্ছেন না টপ অর্ডারের কেউই। সব ভুলে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় শোনা গেল টাইগার অধিনায়কের কণ্ঠে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে টপ অর্ডাররা ভালো করেনি বা করছে না। কিন্তু কালকের দিনটা পুরোপুরি নতুন দিন এবং অনুশীলনে যার যে জায়গায় সমস্যা আছে সবাই শতভাগ দিচ্ছে। উন্নতির জায়গা যদি বলেন অবশ্যই আগের জায়গা থেকে সবাই ভালো অবস্থায় আছে।’
সবাই নিজেদের জায়গা থেকে উন্নতির চেষ্ট করছে। অনুশীলনেও যথেষ্ট সময় দিচ্ছে বলে মনে করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, 'অনুশীলন দেখে বা নেটে ব্যাটিং করেছি সবাই তাতে মনে হয়েছে আগের থেকে ভালো অবস্থায় আছে। আগে কী হয়েছে এটা চিন্তা না করে কালকে একটা নতুন দিন। কালকে আমরা কেউই জানি না কে ভালো খেলবে, কে খারাপ খেলবে। নতুন দিনটায় আমার মনে হয় যে থিতু হবে, ভালো শুরু করবে তার খুব বড় দায়িত্ব খেলাটা কীভাবে শেষ করছে। আশা করছি যেভাবে আমাদের ব্যাটাররা প্রস্তুতি নিয়েছে ওইটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে ভালো ম্যাচ হবে।’
ডালাস এবং নিউইয়র্কের সাথে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটের মিল আছে। শ্রীলঙ্কাকে ধরাশায়ী করতে উইকেটের ওপরই নির্ভর করবে বাংলাদেশ। যদিও রেকর্ডটা পাশে পাচ্ছে না শান্তরা। ২০০৭ সালের প্রথম আসর দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনুষ্ঠিত ওই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়টিই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বড় কোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র জয়। অস্ট্রেলিয়ায় সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনটি জয় পেয়েছিল টাইগাররা। সেটিই এক আসরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড। কিন্তু তিনটি জয়ই তুলনামূলক ছোট দলের বিপক্ষে পেয়েছিল টাইগাররা।
লঙ্কানদের বিপক্ষে এ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ১৬ ম্যাচ মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে পাঁচটিতে জয় ও ১১টিতে হেরেছে তারা। বড় দলগুলোর মধ্যে একমাত্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি জয় আছে টাইগারদের। এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।
গ্রুপ ‘ডি’-তে শ্রীলঙ্কা ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। পরের রাউন্ডে যেতে চাইলে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে যে কোনো একটি বড় দলকে হারাতে হবে বাংলাদেশকে। অপরদিকে চাপে থাকবে লঙ্কানরাও। বাংলাদেশকে যদি হারাতে না পারে তাহলে পরের রাউন্ডের পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে লঙ্কানদের। সেক্ষেত্রে অনেক যদির ওপর নির্ভর করতে হবে তাদের।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য স্কোয়াড:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিদ হাসান সাকিব।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :