ঢাকা : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ১৭ রান। জেরেমি গর্ডন প্রথম বল ডট দিয়ে দ্বিতীয়টিতে তুলে নিলেন মার্ক অ্যাডায়ারকে। ম্যাচে আইরিশদের জয়ের আশাটা সেখানেই বলতে গেলে শেষ হয়ে যায়। কানাডা ম্যাচটি জিতেছে ১২ রানে।
টস হেরে আগে ব্যাট করা কানাডা নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলেছিল ৭ উইকেটে ১৩৭ রান। নিউইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই প্রথম কোন দল একশোর উপরে রান তুললো। সেই রানই যথেষ্ট হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে কানাডার প্রথম জয়ের জন্য। এ নিয়ে তৃতীয়বার কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলকে হারাল কানাডা। আগে এই আয়ারল্যান্ডকেই দুবার হারিয়েছে কানাডা।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই চাপে ছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম ১০ ওভারে ৫০ রান তুলতে তারা হারায় ৪ উইকেট। দলীয় ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে আইরিশরা। সেই ধাক্কা সামলে সপ্তম উইকেটে জুটি গড়ে জয়ের আশা দেখছিল আয়ারল্যান্ড।
তবে অ্যাডায়ারের (৩৪) আউটে জুটি ভাঙলে আর বেশি দূর এগোতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। জর্জ ডকরেলের ২৩ বলে অপরাজিত ৩০ রান শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
গর্ডন ১৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ডিলন হেয়লিগার ১৮ রানে নেন ২ উইকেট।
তার আগে ব্যাট করতে নামা কানাডার হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৪৯ করেন নিকোলাস কির্টন। এছাড়া শ্রেয়াস মোভভার ৩৭, পার্গত সিং ১৮ ও অ্যারন জনসন করেন ১৪ রান। ম্যাচসেরা হয়েছেন কির্টন।
এ গ্রুপে দুই ম্যাচ খেলা কানাডা প্রথম জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে। দুই জয়ে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে দুইয়ে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারা পাকিস্তান আছে চারে। দুই ম্যাচ হেরে টেবিলের তলানিতে আয়ারল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কানাডা: ২০ ওভারে ১৩৭/৭ (জনসন ১৪, ধালিওয়াল ৬, পারগাত ১৮, দিলপ্রিত ৭, কার্টন ৪৯, মোভা ৩৭*, হেলিগার ০, সাদ ১*; অ্যাডায়ার ৪-০-২৩-১, লিটল ৪-০-৩৭-০, ইয়াং ৪-০-৩২-২, ম্যাককার্থি ৪-০-২৪-২, ডেলানি ২-০-১০-১, ক্যাম্পার ২-০-১১-০)
আয়ারল্যান্ড: ২০ ওভারে ১২৫/৭ (বালবার্নি ১৭, স্টার্লিং ৯, টাকার ১০, টেক্টর ৭, ক্যাম্পার ৪, ডকরেল ৩০*, ডেলানি ৩, অ্যাডায়ার ৩৪, ম্যাককার্থি ২*; কালিম ৪-০-৩৮-০, গর্ডন ৪-০-১৬-২, জুনাইদ ৪-০-২৭-১, সাদ ৪-০-২২-১, হেলিগার ৪-০-১৮-২)
ফল: কানাডা ১২ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নিকোলাস কার্টন
এমটিআই