ঢাকা : লম্বা ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার বাংলাদেশকে জেতালেও কখনও সেইভাবে লাইমলাইটে ছিলেন না তিনি। ক্যারিয়ারের পুরো সময় যিনি কাটিয়ে দিয়েছেন পার্শ্ব-নায়ক, নায়কের বন্ধু বা নিজের চিরায়ত 'বিপদের বন্ধু' খেতাব নিয়েই। বলছি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কথা। দলের বিপদে আরও একবার যাকে দেখা গেল ত্রানকর্তার ভূমিকায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে কখনও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে এলো কাঙ্ক্ষিত জয়। এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কম রানে লঙ্কানদের আটকে দিয়েও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়ের পর মাহমুদউল্লাহর হার না মানা ইনিংসে ভর করে জয় তুলে নেয় লাল-সবুজের দল।
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জয়ের পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে একটি ছবি জুড়ে দিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই এমন জয় এসেছে, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আলহামদুলিল্লাহ।’
অথচ এই রিয়াদকে নিয়ে কম নাটক হয়নি। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে তার দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। সেসময় দলে সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করতে ভুল করেননি রিয়াদ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে দারুন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দিয়েছিলেন সামর্থ্যের প্রমাণ। আর এবারের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও পুরো দল যখন ব্যাটিংয়ে নড়বড়ে, তখনও রিয়াদ একপ্রান্ত আগলে রেখে মান বাঁচান। বিশ্বকাপের এখনও বেশকিছু ম্যাচ বাকি। নিজের শেষ বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া এই অলরাউন্ডার।
এমটিআই