• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

মিলারের বীরত্বে হারের মুখ থেকে জিতে ফিরল দ. আফ্রিকা


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ৯, ২০২৪, ১০:০৯ এএম
মিলারের বীরত্বে হারের মুখ থেকে জিতে ফিরল দ. আফ্রিকা

ঢাকা: লক্ষ্যটা ছিল মাত্র ১০৪ রানের। নেদারল্যান্ডসের দেওয়া এই লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে রান তাড়া করতে নেমে ১২ রানের মধ্যেই তারা হারিয়ে ফেলেছিল ৪ উইকেট। তখন হারের শঙ্কা জেকে বসেছিল প্রোটিয়া শিবিরে। তবে ডেভিড মিলারের বীরত্বে বিপদ ঘটেনি দক্ষিণ আফ্রিকার।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেয়েছে ৪ উইকেটে, হাতে ছিল ৭ বল। প্রোটিয়াদের হয়ে একাই ৫৯ রান করেছেন ডেভিড মিলার। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় এই রান করেছেন ‘কিলার মিলার’।

বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে ১০৪ রান তাড়ায় ৩ রানের মধ্যেই আউট হয়েছেন প্রোটিয়া টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার রেজা হেনড্রিকস, কুইন্টন ডি কক ও অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। দলীয় ১২ রানের মাথায় ফেরেন আরেক তারকা ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন। এরপর জুটি গড়েন ট্রিস্টান স্টাবস ও মিলার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ১৬ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ১০ ওভারে করে মাত্র ৩২ রান। 

স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান না উঠলেও উইকেটে পড়ে থাকেন স্টাবস ও মিলার। পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। ৭৭ রানে স্টাবসের (৩৭ বলে ৩৩) বিদায়ের পর ৮৮ রানের মাথায় আউট হয়ে যান মার্কো জেনসেনও। তাতে আবারও কিছুটা হারের শঙ্কা যায়। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন মিলার। শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। খেলা শেষের ওভারে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি মিলার। বাস ডি লিডের করা ১৯তম ওভারেই দুই ছক্কা, এক চার ও একবার ডাবল নিয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। 

এর আগে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় শুরু হয় ম্যাচ। এদিন টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। শুরু থেকেই ডাচদের চেপে ধরে প্রোটিয়ারা। ১২ ওভারের মধ্যে ৫০ রান তোলার আগেই দলটি হারিয়ে বসে ৬ উইকেট। মার্কো জেনসেন, এনরিখ নোর্কিয়াদের তোপে একে একে ফিরে যান মাইকেল লেভিট, ম্যাক্স ও ডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, বাস ডি লিড, স্কট এডওয়ার্ডস ও তেজা নিদামানুরুর মতো খেলোয়াড়রা। 

দল যখন এক শ’র অনেক আগে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় তখন দলের হাল ধরেন সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও লোগান ভ্যান বিক। সপ্তম উইকেটে এই দুজন যোগ করেন ৫৪ রান। তবে তার জন্য তাদের খেলতে হয়েছে ৪৪ বল। তাই দলের রান ১০৩ এর বেশি হয়নি। পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে এই রান তোলে দলটি। ৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান এসেছে এঙ্গেলব্রেখটের ব্যাটে। ২২ বলে ২৩ রান করেছেন ভ্যান বিক। 

বল হাতে শুরুর দিকে নোর্কিয়া-জেনসেরা তোপ দাগলেও শেষের আলো কেড়ে নেন তরুণ ওটেনেইল বার্টম্যান। শেষ ওভারেই তিনি শিকার করেন ৩ উইকেট। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দেওয়া এই পেসারের শিকার ৪ উইকেট। জেনসেন ও নোর্কিয়া যথাক্রমে ২০ ও ১৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। 

এই জয়ে ‘ডি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে নিজেদের জায়গা পোক্ত করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট তাদের। ১ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বাংলাদেশ। ২ ম্যাচে একটি করে জয় ও হারে ২ পয়েন্ট থাকলেও রান রেট বিবেচনায় তিনে নেদারল্যান্ডস। আর এখনো জয় না পাওয়া নেপাল ও শ্রীলংকা (২ ম্যাচে) আছে তালিকার চার ও পাঁচে। 

এমএস

Wordbridge School
Link copied!