ঢাকা: ‘বিশ্বাস করুন, পাকিস্তানের সুযোগ আছে’- ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে এই কথা বলেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’খ্যাত এই সাবেক এই ফাস্ট বোলারের কথামতো সেই সুযোগ পাকিস্তান সৃষ্টিও করেছিল।
কিন্তু শেষে গিয়ে নিজেরাই সেই সুযোগ নষ্ট করে হেরেছে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা। বোলারদের তৈরি করে দেওয়া মঞ্চকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। পৌঁছাতে পারেনি ১২০ রানের লক্ষ্যেও।
এই হারের পর নিজের হতাশা লুকাতে পারেননি ম্যাচের আগে সবাইকে আশাবাদী হতে বলা শোয়েবও। বলে বলে রানের ম্যাচটি পাকিস্তান যেভাবে হেরেছে, সেটা যেন মানতেই পারছেন না বিশ্বের দ্রুততম এ বোলার।
নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট ও ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিও বার্তায় হতাশার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। পাশাপাশি পাকিস্তান কি আসলেই সুপার এইটের আগে বাদ পড়ার যোগ্য কি না, সে প্রশ্নও রেখেছেন সাবেক এ পেসার।
নিজের এক্স অ্যাকাউটে দেওয়া ভিডিও বার্তায় হতাশ শোয়েব বলেছেন, ‘পুরো দেশ হতাশ। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তোমাদের একে অপরের জন্য খেলতে হতো, দেশের জন্য খেলতে হতো। ম্যাচ জেতার আকাঙ্ক্ষাটা দেখাতে হতো। হতাশাজনক। পাকিস্তান কি আসলে সুপার এইটের আগে বিদায় নেওয়ার মতো দল? সৃষ্টিকর্তা জানেন। এই প্রশ্নটা আমি আপনাদের জন্য রাখছি। আপনারা সিদ্ধান্ত নিন।’
ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওতেও নিজের হতাশার কথা তুলে ধরেছেন শোয়েব। বিশেষ করে পাকিস্তানের বলে বলে রান নিতে না পারার ব্যর্থতা যেন ভুলতে পারছেন না শোয়েব।
বারবার বলেছেন সে কথা, ‘আপনারা ম্যাচটা দেখেছেন, পাকিস্তান হেরে গেছে। হতাশাজনক। খুবই হতাশাজনক। বলে বলে রান প্রয়োজন ছিল। নিজেদের ব্যাটিংয়ে ভারতের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও গুবলেট পাকিয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তারা এটা করেছে। ১১ ওভারে তারা ৮৪ রান করে ফেলেছিল। সেখান থেকে সহজেই তারা ১৬০ রানে যেতে পারত।’
ভারত বড় সংগ্রহ গড়তে না পারলেও ১২০ রানের লক্ষ্যও শেষ পর্যন্ত ছুঁতে পারেননি বাবর-রিজওয়ানরা। দলের এমন হার নিয়ে শোয়েব আরও বলেছেন, ‘রিজওয়ানের জন্য এটা বলে বলে রানের ম্যাচ ছিল। যেখানে থেকে আরামে খেলে সে দলকে জেতাতে পারত। আর ২০ রান হলেই ম্যাচটা আমাদের পক্ষে চলে আসতে পারত। খুব হতাশার ব্যাপার। আমরা মস্তিষ্কের কোনো ব্যবহারই করিনি।’
ভারতের কাছে হেরে পাকিস্তান এখন বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পথে। এই হারের পর দলের অনেক কিছুই প্রশ্নবিদ্ধ শোয়েবের কাছে, ‘আকাঙ্ক্ষা নাকি বাস্তবায়ন, কোনটার অভাব ছিল আমি জানি না। অনেক কিছুই এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এটা খুবই দুঃখজনক, হতাশাজনক। পাকিস্তানের এই ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল। ফখরের আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাচটাতে পাকিস্তান জয়ের পথেই ছিল। কোনো সমস্যাই ছিল না। ৪৭ বলে মাত্র ৪৬ রান প্রয়োজন ছিল। আমাদের হাতে ৭ উইকেট ছিল। বলে বলে রান নিলেই হতো, এটাই আমাদের প্রয়োজন ছিল। বিষয়টা আমি বুঝতে পারছি না। আমি হতবাক, হতাশ এবং বেদনাহত।’
এআর
আপনার মতামত লিখুন :