• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

জয়ের আশা দেখিয়ে তীরে এসে তরী ডুবল বাংলাদেশের


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ১১, ২০২৪, ১২:০৬ এএম
জয়ের আশা দেখিয়ে তীরে এসে তরী ডুবল বাংলাদেশের

ঢাকা: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের আশা দেখিয়েও পারল না বাংলাদেশ। তীরে এসে তরী ডুবেছে টাইগারদের। বাংলাদেশ হেরে গেল ৪ রানে। ২ বলে দরকার ছিল ৬ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্ট্রাইকে। বাংলাদেশের সমর্থকরা তাই আশায় বুক বেঁধে ছিলেন। 

কেশভ মহারাজের হাই ফুলটস বলে মাহমুদউল্লাহ সজোরে হাঁকালেনও। ছক্কা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু লংঅন বাউন্ডারিতে দৌড়ে এসে দারুণ এক ক্যাচ নেন এইডেন মার্করাম। 

ওয়ানডে বিশ্বকাপে জয় আছে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কখনও হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তো টি-টোয়েন্টিতে এর আগে কখনও জয় পায়নি বাংলাদেশ। আগের আটবারের দেখায় হেরেছে সবকটিতে।

অবশেষে ইতিহাস গড়ার সুযোগ এসেছিল বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে। হলো না। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরে গেলো বাংলাদেশ। লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, মাত্র ১১৪ রানের। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মারকুটে খেলতে হবে না, কেবল দেখেশুনে খেললেই হবে। পাওয়ার প্লেতে সেই কাজটি মোটামুটি ভালোভাবেই করেছিলেন শান্ত-লিটনরা।

তানজিদ হাসান তামিম ২ বাউন্ডারিতে বল সমান ৯ রান করে কাগিসো রাবাদার বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভ খেলে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন। এরপর পাওয়ার প্লে দেখেশুনে কাটিয়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন দাস। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৯ রান তোলে বাংলাদেশ।

কিন্তু এরপর টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে টাইগাররা। সপ্তম ওভারে এসে লিটন বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন। কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ তুলে দেন তিনি, ১৩ বলে করেন ৯।

পরের ওভারে অ্যানরিখ নরকিয়াকে হুক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৪ বলে করেন ৩ রান। অধিনায়ক শান্ত দায়িত্ব নিয়ে খেলছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও উইকেট উপহার দিয়ে এসেছেন। নরকিয়ার শিকার হওয়ার আগে ২৩ বল খেলে এক ছক্কায় ১৪ রান করেন তিনি।

এরপর তাওহিদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৫ বলে ৪৪ রানের জুটিতে ম্যাচ অনেকটাই বের করে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ৩৪ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৭ করা হৃদয়কে দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হয়। রাবাদার এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েছে।

জাকের আলি পরের দিকে রানের চাহিদা মেটাতে পারেননি। ৯ বলে ৮ করে ফেরেন। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ২০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশভ মহারাজ ২৭ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট কাগিসো রাবাদা আর এনরিখ নরকিয়ার।

এআর

Wordbridge School
Link copied!