ঢাকা: এই ইংল্যান্ডই কি না বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কায়! সুপার এইট নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকা ইংল্যান্ড রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়ল ওমানের ওপর।
২৪০ বলের ম্যাচ। খেলা শেষ ৯৯ বলেই! বোলারদের নৈপুণ্যে ওমানকে অল্পে গুটিয়ে বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিল ইংল্যান্ড। বাঁচিয়ে রাখল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে যাওয়ার আশা।
অ্যান্টিগায় বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের জয় ৮ উইকেটে। ৪৮ রানের লক্ষ্য ৩.১ ওভারেই পেরিয়ে যায় জস বাটলারের দল।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ওমানকে মাত্র ৪৭ রানে গুটিয়ে দেন জফরা আর্চার, মার্ক উড আর আদিল রশিদরা। যে রান তাড়া করতে নেমে জস বাটলার, ফিল সল্টরা সময় নিয়েছেন মাত্র ১৯ বল।
রান তাড়ায় বিলাল খানের প্রথম দুই বলেই ছয় হাঁকান সল্ট। বিশ্বকাপ তো বটেই, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই ইনিংসের প্রথম দুই বলে ছয় মারার প্রথম ঘটনা এটি।
সল্ট অবশ্য প্রথম দুই বলে ছয় মেরে তৃতীয় বলেই আউট হয়ে যান। পরের ওভারে আউট হন উইল জ্যাকসও। তবে রান রেট বাড়িয়ে নেওয়ার ভাবনায় জিততে সময় নিতে চাননি বাটলার।
তৃতীয় ওভারে বিলালের ৬ বল থেকে ৪টি চার আর একটি ছয় মেরে ২২ রান তুলে নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ফাইয়াজ বাটকে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন জনি বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ড ২ পয়েন্ট তোলে ৮ উইকেট ও ১০১ বল বাকি রেখে।
বলের দিক থেকে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় জয় এটি। পেছনে পড়েছে ২০১৪ আসরে চট্টগ্রামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ৯০ বল বাকি রেখে তোলা জয়। ১০ বছর আগের সেই ম্যাচে খেলা হয়েছিল মোট ৯৩ বল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৯ বল খেলা হলো ইংল্যান্ড-ওমান ম্যাচে।
ইংল্যান্ডের ১০১ বল বাকি থাকতে জয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্যদেশের সবচেয়ে বড় জয়, এখানে পেছনেও পড়েছে শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচই।
তবে এ সব রেকর্ড নয়, ইংল্যান্ড সবচেয়ে বেশি খুশি রান রেটের জন্য। ‘বি’ গ্রুপে ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের নেট রানরেট ৩.০৮১। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট তুলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কটল্যান্ডের ২.১৬৪। অস্ট্রেলিয়া ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছে। ৪ ম্যাচের সব কটিতে হেরে সবার আগে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করেছে ওমান।
এআর