• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে ১ রানে হেরে গেল নেপাল


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ১৫, ২০২৪, ১০:১২ এএম
দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে ১ রানে হেরে গেল নেপাল

ঢাকা: নেপালের বিপক্ষেও শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা তৈরি হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। আইসিসি সহযোগী দলটির বিপক্ষে হারতে হারতে শেষ মুহূর্তে বেঁচে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। জিতলো মাত্র ১ রানে।

ওই রান হয়ে গেলে ম্যাচ গড়াত সুপার ওভারে। শেষ বলে দুই রান হলে ঐতিহাসিক এক জয়ের স্বাদ পেত নেপাল। শুধু শেষ বলে নয়, শেষ দুই বলে দুই হলেও তারা জিতত। আরেকটু পেছনে গেলে, চার ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ২১ রানের, উইকেট তখনও আছে সাতটি। 

কিন্তু অসাধারণ এক জয়ের সব আয়োজন করেও শেষ পর্যন্ত তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে তারা। যে দিনটি হতে পারত নেপালের ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয়তম দিন, বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যও হতে পারত বড় ঘটনা, সেই ম্যাচটিই শেষ পর্যন্ত তাদের জন্য পরিণত হলো বিষাদে। সেন্ট ভিনসেন্টেরপরাজয়ের দুয়ার থেকে ১ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

ম্যাচের বাকি যখন ৩ ওভার। নেপালের রান দরকার তখন  ১৮ রান। তাব্রেইজ শামসির অসাধারণ একটি ওভার ম্যাচে ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ওই ওভারে স্রেফ দুই রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন এই বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার। পরের ওভারে আনরিখ নরকিয়া টানা চার বলে রান দিলেন না, উইকেটও নিলেন একটি। 

সমীকরণ তখন ৮ বলে ১৬ রান। পরের বলে বিশাল এক ছক্কায় বল স্টেডিয়ামের বাইরে আছড়ে ফেলেন সোম্পাল কামি। ওভারের শেষ বলে আসে দুই রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৮ রানের। সেখানে বার্টম্যানের প্রথম দুই বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি ঝা। পরের বল এক্সট্রা কভার দিয়ে মারেন বাউন্ডারি। চতুর্থ ডেলিভারিতে একই জায়গা দিয়ে নেন ২ রান। কিন্তু শেষ দুই বলেবার্টম্যানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে আবারও ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ ঝা।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। একটু কঠিন উইকেটে প্রোটিয়াদের ইনিংসটি সঠিক পথে রাখার চেষ্টা করেছিলেন রিজা হেনড্রিকস। ১৬তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। প্রোটিয়াদের হয়ে আর কেউ চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলতে পারেননি। ছয়ে নামা ট্রিস্টান স্টাবস শেষ দিকে ১ ছক্বা ও ২ চারে ১৮ বলে ২৬ রানে অপরাজিত না থাকলে ১১৫ রানের সংগ্রহও পেত না দক্ষিণ আফ্রিকা।

নেপালের বোলারদের প্রশংসাও করতে হবে। দলে ফেরা তারকা লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের কাঁপিয়েছেন আরেক লেগ স্পিনার কুশল ভুরতেল। মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। ২১ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার দীপেন্দ্র সিং।

তাড়া করতে নামা নেপালের ইনিংসেও চল্লিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস একটি। ৪৯ বলে ৪২ রানে আউট হন উইকেটকিপার আসিফ শেখ। ১৮তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১০০ রানে আউট হন তিনি। তার আগে আসিফের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫০ রানের জুটিতে রান তাড়ায় নেপালকে সঠিক পথেই রেখেছিলেন অনিল শাহ। ২৪ বলে ২৭ রানে আউট হন অনিল। জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ১৮ রান দরকার ছিল নেপালের। অর্থাৎ ওভারপ্রতি গড়ে ৬ রান করে দরকার ছিল।
 
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বয়স বিচারে সর্বকনিষ্ঠ দল হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো অভিজ্ঞ দলকে ভালোই কাঁপাল নেপাল। ৩ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পেয়ে ‘ডি’ গ্রুপে চতুর্থ নেপাল এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ পড়ল। নিজেদের শেষ ম্যাচটা তারা খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ ম্যাচের সবগুলো জিতে মোট ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে। 

৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয়। নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা জিতলেই সুপার এইটে উঠবে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় নেদারল্যান্ডস। আগেই বাদ পড়া শ্রীলঙ্কা ৩ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানিতে।

এআর

Wordbridge School
Link copied!