ঢাকা : নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত নেপালকে মাত্র ১০৬ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে যেভাবে লো স্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের করা এই রানও হয়তো জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। যদিও বাংলাদেশের বোলারদের ওপর এখন মূল দায়িত্ব, এই স্কোরটাকে ডিফেন্ড করার।
১৯.৩ ওভারে অলআউট হয়েছে টাইগাররা। শেষ মুহূর্তে ২টি বাউন্ডারি হাকিয়ে বাংলাদেশের স্কোর তিন অংকের ঘর পার করান তাসকিন আহমেদ। ১৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
আজ সোমবার (১৭ জুন) টস হেরে ব্যাটিংয়ে যায় টাইগাররা।প্রথম ওভার থেকেই দারুণ বল করে নেপাল। সোমপাল কামি’র প্রথম ওভারেই শূন্যরানে আউট হন তানজিদ হাসান তামিম।
নেপালের স্পিনে ধসে গেছে বাংলাদেশ। তারা যেন ঘোষণা দিয়ে স্পিন দিয়ে ধসিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। তবে পেসার সোমনাথ কামি ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। দিপেন্দ্র সিং নেন ২ উইকেট। অধিনায়ক রোহিত পাওদেল ও সন্দীপ লামিচানে দুটি করে উইকেট দখল করেন।
বাংলাদেশ ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রানে ব্যাট করছে। ক্রিজে থাকা সাকিব ১৫ রান করেছেন। তার সঙ্গী জাকের। এর আগে ওপেনার তানজিদ তামিম গোল্ডেন ডাক মারেন। পরেই আউট হন তিনে নামা নাজমুল শান্ত (৪)। ৭ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ২১ রানে ৩ উইকেট হয়ে যায়। লিটন আউট হন ১০ রান করে।
ক্রিজে এসেই তাওহীদ হৃদয় আউট হলে বড় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। হৃদয় ৯ রান করে আউট হন। বাংলাদেশ ৫.৪ ওভারে ৩০ রানে হারায় ৪ উইকেট। এরপর হাল ধরার বার্তা দেয়া মাহমুদউল্লাহ রান আউট হন। তিনি ১৩ রান যোগ করেন।
দ্বাদশ ওভারে এলবিডব্লু হয়ে পাউডলের দ্বিতীয় শিকার হন সাকিব। ২২ বলে ১৭ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১৪তম ওভারে লামিচেনের প্রথম বলে তানজিম হাসান সাকিবকে এলবিডব্লুর ফাঁদে একবার আউট দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান সেবার। পরের বলেই আবার বোল্ড হয়ে ফেরেন ৩ রানে।
১০০ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা জেগে ওঠে তখন। তবে জাকের আলীর ১২, শেষ দিকে রিশাদ হোসেনের ১৩ ও তাসকিন আহমেদের ১৩ রানের কল্যাণে ১৯.৩ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। আইরি, লামিচান, কামি ও পাউডেল প্রত্যেকে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এমটিআই