• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ

‘ক্লান্ত’ ইংল্যান্ডকে রুখে দিল ডেনমার্ক


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ২১, ২০২৪, ১২:৫৬ এএম
‘ক্লান্ত’ ইংল্যান্ডকে রুখে দিল ডেনমার্ক

ঢাকা : প্রথম ম্যাচের বিবর্ণতা ঝেড়ে ফেলতে পারল না ইংল্যান্ড। তাদের পায়ে ভর করল যেন রাজ্যের ক্লান্তি। প্রতিপক্ষের দুর্বলতায় শুরুতে অবশ্য গোল পায় তারা, কিন্তু পাল্টা ভুলে সেটাও আগলে রাখতে পারেনি গ্যারেথ সাউথগেটের দল। উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে মূল্যবান একটি পয়েন্ট আদায় করে নিল ডেনমার্ক, ভালোমতোই বাঁচিয়ে রাখল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নকআউট পর্বে খেলার আশা।

ফ্রাঙ্কফুর্টে বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। হ্যারি কেইন ইংলিশদের এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন মর্টেন ইয়ুলমান।

কখনোই ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারা ইংল্যান্ড গতবার ফাইনালে গিয়ে হেরেছিল। এবারও অধরা সেই স্বপ্ন পূরণের মিশনে এসে সার্বিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে আসর শুরু করে তারা, যদিও ওই ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স ছিল না আশা জাগানিয়া। পারফরম্যান্সে উজ্জ্বলতা এবারও ছড়াতে পারেনি তারা।

অবশ্য এই ১ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট ওঠার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল সাউথগেটের দল। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষেই আছে তারা। দুই ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ডেনমার্ক।

স্লোভেনিয়া ও সার্বিয়ার মধ্যে দিনের প্রথম ম্যাচটিও ১-১ গোলে ড্র হয়। ডেনমার্কের সমান ২ পয়েন্ট স্লোভেনিয়ার। ১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে সার্বিয়া। এই চার দলেরই সুযোগ আছে গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পার হওয়ার।

ছোট ছোট পাসে গড়া আক্রমণে দ্বাদশ মিনিটে বেশ ভালো একটি আক্রমণ শাণায় ইংল্যান্ড। কাইল ওয়াকারের শেষ পাস ধরে তড়িৎ বক্সে ঢুকে পড়েন ফিল ফোডেন, কোনো বাধা ছাড়াই নেন শট; কিন্তু সেটা লক্ষ্যের ধারেকাছেও ছিল না।

প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভুলে আর সৌভাগ্যের একটু ছোঁয়ায় ছয় মিনিট পর এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ডি-বক্সের ডান দিকে ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ানসেনের দুর্বলতায় তার থেকে বল কেড়ে নিয়ে ভিতরে ঢুকে গোলমুখে পাস দেওয়ার চেষ্টা করেন ওয়াকার, তবে বল প্রতিপক্ষের দুজনের পায়ে লেগে চলে যায় কেইনের কাছে। অনায়াসে বল জালে পাঠান তারকা স্ট্রাইকার।

বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে মেজর টুর্নামেন্টে কেইনের গোল হলো ১৩টি। ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি আগে থেকেই তার দখলে; জাতীয় দলের হয়ে তার মোট গোল হলো ৬৪টি।

পিছিয়ে পড়ার পর পাল্টা চাপ দেয় ডেনমার্ক। দ্রুত সাফল্যও পেয়ে যায় তারা। ৩৪তম মিনিটে নিজেদের সীমানায় একটি থ্রোয়িংয়ের পর পজেশন হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা, আর বল ধরে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে শটে গোলটি করেন ইয়ুলমান। প্রতিক্রিয়া দেখাতে একটু যেন দেরি করে ফেলেন গোলরক্ষক, বল পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।


প্রথমার্ধের ছন্দহীনতা বিরতির পর ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা দেখা যায় ইংলিশদের। কিন্তু সমন্বয়হীনতার অভাবে ভেস্তে যাচ্ছিল তাদের সব আক্রমণ। ৫৬তম মিনিটে ভাগ্য সহায় হলে অবশ্য ফের এগিয়ে যেতে পারতো দলটি; কিন্তু ফোডেনের ২২ গজ দূর থেকে নেওয়া শট লাগে পোস্টে।

আক্রমণে গতি যোগ করতে ৭০তম মিনিটে একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন করেন ইংল্যান্ড কোচ। কেইন, বুকায়ো সাকা ও ফোডেনকে তুলে অলি ওয়াটকিন্স, জ্যারড বোয়েন ও এবারসি এজেকে নামান তিনি।

মাঠে নামার পরের মিনিটেই প্রতিপক্ষের বক্সে ভীতি ছড়ান ওয়াটকিন্স। বেলিংহ্যামের দারুণ থ্রু পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন তিনি, তবে একেবারে ঠিক সময়ে সেদিকে এগিয়ে গিয়ে ঠেকিয়ে দেন কাসপের স্মাইকেল। ৭৭তম মিনিটে পিয়েরে-এমিল হয়বার্গের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ফেরান ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।

পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডের চেয়ে বেশি গোলের জন্য শট নেওয়া এবং লক্ষ্যে রাখা ডেনমার্ক বাকি সময়ে দুবার চেষ্টা চালায়, কিন্তু তিন বছর আগের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার কাজটা করতে পারেনি তারা। গত ইউরোয় ইংলিশদেন বিপক্ষে হেরেই সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!