ঢাকা : বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় নাম সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। জাতীয় দলকে দীর্ঘ সময় সার্ভিস দিয়েছেন দু’জনে। ছিলেন কাছের বন্ধুও। ছিলেন বলছি কারণ তাদের মধ্যে এখন আগের সেই বন্ধুত্বটা নেই; যা এখন সবারই জানা। তবে এবার ভারতের বিপক্ষে হার ফের এক করেছে দু’জনকে।
অবাক হওয়ার কিছু নেই, তারা এক হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনার ক্ষেত্রে। হারের পর অধিনায়ক শান্তর বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একসময়ের বন্ধু ও দলের সাবেক দুই অধিনায়ক সাকিব-তামিম। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন সাকিব। অন্যদিকে ইএসপিএনক্রিকইনফোর বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় কথা বলেছেন তামিম।
বাংলাদেশের ব্যাটিং দুর্বলতা জানার পরও টস জিতে ভারতের বিপক্ষে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত ভালো লাগেনি সাকিব ও তামিমের। যা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, ক্যারিবিয়ানে একটা বা দুটি ম্যাচেই (দলগুলো টসে জিতে পরে ব্যাটিং করেছে)…ইংল্যান্ড মনে হয় একটা ম্যাচে ১৮০ চেজ করেছে। নইলে প্রথমে ব্যাটিং করাটাই নিয়ম, দলগুলো এতে সফলও হচ্ছে। এটা মনে রাখলে হয়তো প্রথমে ব্যাটিং করলেই ভালো হতো। তবে অধিনায়ক ও কোচ হয়তো ভেবেছেন, ওদেরকে মোটামুটি একটা রানে আটকে রাখতে পারলে কাজটা সহজ হবে। কত রান করতে হবে, এটা জানা থাকবে।’
শান্তর আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত দেখে অবাক হয়েছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘যখন আপনার ব্যাটাররা রান করছে, তখন আপনি আত্মবিশ্বাসী যে আপনার ব্যাটিং লাইন আপ ১৬০ বা ১৭০ রান তাড়া করতে পারে। যখন আপনি জানেন যে আপনার ব্যাটিং সংগ্রাম করছে, তখন আমি অবাক হয়েছিলাম বাংলাদেশের প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত দেখে। এ ম্যাচে তাদের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আমাকে অবাক করেছে। যার দিকে আঙুল তুলা যায়।’
এদিন বাংলাদেশ একাদশে রাখেনি তারকা পেসার তাসকিন আহমেদকে। তার জায়গায় ব্যাটার হিসেবে জাকেরকে খেলিয়েছে। এছাড়াও শুরুতে স্পিনারদের দিয়ে বল করিয়েছেন অধিনায়ক শান্ত যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাকিব-তামিম।
সাকিব বলেন, ‘এটা খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট ছিল। আমার মনে হয়, ক্যারিবিয়ানে স্পিনারদের জন্য নতুন বলে বোলিং করার চেয়ে মাঝের ওভারে বোলিং করা সহজ। কারণ নতুন বলে সব দলই দ্রুত রান করতে চায়। বল পুরোনো হয়ে গেলে তখন রান করা একটু কঠিন হয়ে যায়।’
এ ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘আমি খুব অবাক হয়েছিলাম দেখে যে তাসকিন খেলছে না। দুই স্পিনারই প্রচুর রান খরচ করেছে। একটা সময় ছিল যখন তানজিমের হাসান সাকিব কাছে উইকেট হারিয়ে ভারত কিছুটা ধুঁকছিল। যদি তাসকিন সেখানে একজন অতিরিক্ত ফাস্ট বোলার হিসেবে থাকতেন তবে আমরা শিবম দুবের শর্ট বলের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ভারতকে আক্রমণ করতে পারতাম।’
মুস্তাফিজকে কেন শুরুতে বোলিংয়ে আনা হয়নি সেটা নিয়েও অধিনায়ক শান্তর সিদ্ধান্তে হতাশ তামিম। বলেন, ‘সবাই বাঁহাতি ফাস্ট বোলিংয়ের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মার সামান্য দুর্বলতা নিয়ে কথা বলেছে। খেলায় একই রকম বোলার থাকলে সেটা খেলোয়াড়ের মনে চলে। বাঁহাতি সিমার দিয়ে শুরু করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের, এক নজর দেখার জন্য। ভারত হয়তো ১৯৬ রান করেছে, কিন্তু রোহিতের শুরুটা ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তানজিম আগের ম্যাচগুলোতে নতুন বলে ভালো করেছে। সে আজ নতুন বল পায়নি। কেন অন্য কারো জন্য পুরো সেটআপ পরিবর্তন করতে হবে, এমনকি যখন কেউ ব্যতিক্রমী ভালো করছে?’
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :