ঢাকা: ৩৭তম জন্মদিনে পা দিলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। ১৯৮৭ সালের আজকের দিনে আর্জেন্টাইন শহর রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন অনেকের কাছেই সর্বকালের সেরা এই ফুটবলার। শৈশব থেকে ফুটবল প্রেমে মগ্ন মেসি পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে।
এর মধ্যে বিশ্বকাপসহ ফুটবলের সম্ভাব্য সব অর্জন নিজের ঝুলিতে ভরেছেন এই মহাতারকা। মেসির ৩৭তম জন্মদিন পালনের মুহূর্তে দেখে নেওয়া যাক তার গড়া ৩৭টি বিরল রেকর্ড।
১. খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৪৪টি শিরোপা জয়।
২. খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৮টি ব্যালন ডি’অর জয়।
৩. খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৬টি গোল্ডেন বুট জয়।
৪.২০১২ সালে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ৯১ গোল।
৫. আর্জেন্টিনা এবং দক্ষিণ আমেরিকার কোনো খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১৮৩ ম্যাচ।
৬. আর্জেন্টিনা এবং দক্ষিণ আমেরিকার কোনো খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১০৮ গোল।
৭. বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৩ গোল।
৮. প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে চারটি ভিন্ন বিশ্বকাপে গোল (২০০৬, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২২)।
৯. আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোল (১৮ বছর ৩৬৭ দিন)।
১০. দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্বে সবচেয়ে বেশি ৩১ গোল।
১১. যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি ৫ বিশ্বকাপ খেলা খেলোয়াড় (জিয়ানলুইজি বুফন, লোথার ম্যাথাউস, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, আন্তোনিও কারবাহাল, রাফা মার্কুয়েজ, আন্দ্রেস গুয়াদ্রাদো এবং গিয়ের্মো ওচোয়াও ৫টি বিশ্বকাপে খেলেছেন)।
১২. বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২৬ ম্যাচ খেলেছেন মেসি।
১৩. বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২৩১৪ মিনিট মাঠে ছিলেন মেসি।
১৪. বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া একমাত্র খেলোয়াড় মেসি।
১৫. বিশ্বকাপে সবচেয়ে সরাসরি গোলে অবদান রাখা খেলোয়াড়ও মেসি। ১৩টি গোলের সঙ্গে আছে ৮টি অ্যাসিস্ট।
১৬. একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ২ বার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জিতেছেন মেসি। ২০১৪ ও ২০২২ সালে।
১৭. বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১৪ ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মেসি।
১৮. একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবেস বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে গোল করা খেলোয়াড় হলেন মেসি।
১৯. বিশ্বকাপে অনূর্ধ্ব-২০, অনূর্ধ্ব-৩০ এবং ত্রিশোর্ধ্ব খেলোয়াড় হিসেবে গোল করা একমাত্র খেলোয়াড় হলেন মেসি।
২০. বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল এবং শেষ গোলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময়ের ব্যবধান (১৬ বছর ৬ মাস এবং ২ দিন)।
২১. বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে প্রথম গোল (৮টি)।
২২. অধিনায়ক হিসেবে ফাইনালে সবচেয়ে বেশি ২ গোল।
২৩. কোপা আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি ৩৫ ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়।
২৪. কোপা আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি ১৭টি গোলে সহায়তা করা খেলোয়াড়।
২৫. বিদেশি হিসেবে সবচেয়ে বেশি স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা জয় (১০)।
২৬. একটি দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল (বার্সেলোনার হয়ে ৬৭২টি গোল)।
২৭. লিগে সবচেয়ে বেশি গোল (৪৭৪টি)
২৮. বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের এল ক্লাসিকোতে সবচেয়ে বেশি গোল (২৬টি)।
২৯. লা লিগায় এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল (২০১১–১২ মৌসুমে ৫০ গোল)।
৩০. লা লিগায় এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলে সহায়তা (২০১৯–২০ মৌসুমে ২১ গোলে সহায়তা)।
৩১. লিগে সবচেয়ে বেশি ১৯৩ গোলে গোলে সহায়তা।
৩২. লা লিগায় সবচেয়ে বেশি ৩৬ হ্যাটট্রিক।
৩৩. লা লিগা সবচেয়ে বেশি টানা ২১ ম্যাচে গোল। ২০১২–১৩ মৌসুমে এ কীর্তি গড়েছেন তিনি।
৩৪. সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৮ বার পিচিচি জয়।
৩৫. একটি নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে (বার্সেলোনা) চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি ১২০ গোল।
৩৬. চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি ক্লাবের বিপক্ষে গোল করার খেলোয়াড়ও হলেন মেসি। ৪০টি দলের বিপক্ষে গোল করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
৩৭. চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০০ গোল করতে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলা ফুটবলার হলেন মেসি। ১২৩ ম্যাচে গোলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছিলেন তিনি।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :