ঢাকা : প্রথমার্ধেই দশ জনের দলে পরিণত হওয়া চেক প্রজাতন্ত্র পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়াল, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। শেষ দিকের গোলে তাদেরকে হারিয়ে ২০০৮ সালের পর প্রথমবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্বে উঠল তুরস্ক।
হামবুর্গে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে ‘এফ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডের খেলায় ২-১ গোলে জেতে তুরস্ক। হাকান কালহানোগলুর গোলে পিছিয়ে পড়ার পর চেক প্রজাতন্ত্রকে সমতায় ফেরান টমাস সুচেক। শেষ সময়ে নিজের ব্যবধান গড়ে দেন জেঙ্ক তোসুন।
তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোয় উঠল তুরস্ক। টেবিলের তলানিতে থেকে বিদায় নিল চেক প্রজাতন্ত্র।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে, আগেই গ্রুপ সেরা হয়ে যাওয়া পর্তুগালকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে জর্জিয়া। ঐতিহাসিক এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে, সেরা চার তৃতীয় দলের একটি হয়ে পরের ধাপে উঠেছে তারা।
জর্জিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করা তুরস্ক নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে।
চেক প্রজাতন্ত্র শুরু করে পর্তুগালের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে। দ্বিতীয় ম্যাচে জর্জিয়ার সঙ্গে ১-১ ড্র করে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত সেই শঙ্কায় হলো সত্যি।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নেমে ২০তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় চেক প্রজাতন্ত্র। আন্তোনিন বারাক দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা। তবে তাদেরকে চাপে ফেলতে পারেনি তুরস্ক। প্রথমার্ধে তাদের সাত শটের একটিও ছিল না লক্ষ্যে।
অন্যদিকে, বলের নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল চেক। পাঁচ শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখে তারা। তবে ডেভিড জুরাসেকের দুটি প্রচেষ্টা আটকে তুরস্ককে স্বস্তিতে রাখেন গোলরক্ষক মের্ট গুনোক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেন কেনান ইলদিজ; বল উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৫১তম মিনিটে এগিয়ে যায় তুরস্ক। হাসান কালহানোগলুর বুলেট গতির কোনাকুনি শট শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়েও আটকাতে পারেননি গোলরক্ষক।
৬৬তম মিনিটে তুর্কি গোলরক্ষকের বাধা এড়িয়ে শট নেন টমাস চোরি, গোললাইন থেকে সেটা ফেরালেও পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি আর্দা গিলের। জোরাল ভলিতে বল জড়ান সুচেক। তুরস্ক তখন দাবি করে, ফাউলের শিকার হয়েছিল তাদের গোলরক্ষক। তবে ভিএআরে টেকেনি তাদের দাবি; সমতায় ফিরে ম্যাচ।
শেষ দিকে জয়সূচক গোলের জন্য মরিয়া চেক প্রজাতন্ত্র ওপরে উঠে খেলতে থাকে। তাতে তুরস্কের জন্য পাল্টা আক্রমণের পথ হয় প্রশস্ত। পাল্টা আক্রমণ থেকেই তোসুন বক্সে ঢুকে ঠাণ্ডা মাথায় জায়গা করে নিয়ে জোরাল কোনাকুনি শটে গড়ে দেন ম্যাচের ভাগ্য।
এর পরপরই বাজে শেষের বাঁশি। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। রেফারি চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস চোরিকে দেখান লাল কার্ড।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :