ঢাকা : ১৯৯২ থেকে ২০২৩— এই ৩১ বছরে আইসিসি ইভেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনাল খেলেছে একে একে সাতবার। কিন্তু কোনো বারেই সেমিফাইনালে জিততে পারেনি তারা। এ কারণে সমর্থকদের কাছে দলটি পরিচিত ‘চোকার্স’ হিসেবে। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই ফাঁড়া টপকে গেছে এইডেন মার্করামের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা। বলা যায়, মার্করামের হাত ধরেই নতুন ইতিহাস লিখল প্রোটিয়া ক্রিকেট।
মার্করামের হাতে নেতৃত্ব দিয়ে দিনবদলের পথে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়কত্বে মার্করামের সাফল্য কিংবা অভিজ্ঞতা হঠাৎ করে নয়। ২০১৪ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে মার্করামে হাত ধরে শিরোপা জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অর্থ্যাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার আগেই বয়সভিত্তিক দলে শিরাপো জিতেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রাইঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ টোয়েন্টি লিগে ২০২৩ ও ২০২৪ আসরে সানরাইজার্স ইস্টার্ন ক্যাফেকে টানা দুবার শিরোপা এনে দিয়েছেন মার্করাম।
ভারতের মাটিতে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার অনুপস্থিতিতে দুই ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মার্করাম। তার অধিনায়কত্বে দুই ম্যাচেই জয় পায় প্রোটিয়া শিবির। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকার গল্পটা আরও ভিন্ন। এখন পর্যন্ত টানা ৮ ম্যাচ খেলে ৮টিতেই জয় দক্ষিণ আফ্রিকার।
গ্রুপপর্বের ৪ ম্যাচ, সুপার এইটের তিন ম্যাচে টানা জয়ের পর সেমিফাইনালেও অপ্রতিরোধ্য মার্করামের দল। সাহসে ভরা উজ্জীবিত আফগানিস্তানকে ন্যূনতম লড়াইও করতে দেয়নি তারা।
গত তিন দশকের দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিভিন্ন সময় অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছে হ্যান্সি ক্রোনিয়ে, গ্যারি কারস্টেন, শন পোলক, মার্ক বাউচার, গ্রায়েম স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ফ্যাফ ডু প্লেসির তারকাদের। কিন্তু ওরা যা পারেনি, তাই করে দেখিয়েছেন ২৯ বছর বয়সি মার্করাম।
দলকে ফাইনালে তুলে প্রোটিয়া ক্রিকেটের নতুন অভ্যুদয় ঘটিয়েছেন মার্করাম। আগামী ২৯ জুন কিংসটাউনে শিরোপা দখলের মহারণে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই ম্যাচে হার-জিত যাই হোক, অন্তত সেমিফাইনালে জয়ের ‘খরা’ কাটিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবার ফাইনালের মঞ্চে শিরোপা জয় করে আরও ছাড়িয়ে যেতে পারবে কি প্রোটিয়া শিবির?
এমটিআই