Menu
ঢাকা : ইতালির ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ মিশন শেষ হয়েছে সীমাহীন ব্যর্থতা নিয়ে। দেশটির গণমাধ্যমও উঠেছে ফুঁসে। অনেক প্রত্যাশার ফানুস উড়িয়ে জার্মানিতে মুকুট ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে আসা লুচিয়ানো স্পালেত্তির দলের মুন্ডুপাত চলছে।
বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে গত শনিবার শেষ ষোলোর ম্যাচে দুর্বার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি ইতালি। দুই অর্ধে দুটি গোল হজম করে ২-০ ব্যবধানে হেরে বিদায় নেয় তারা। ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ইউরোয় কোয়ার্টার-ফাইনালের আগে বিদায়ঘণ্টা বাজল আজ্জুরিদের।
যদিও এবার শিরোপা ধরে রাখার মিশন ছিল ইতালির, কিন্তু দলটি কখনই আশাবাদী হওয়ার মতো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি। আলবেনিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরুর পর স্পেনের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরে যায় তারা।
শেষ ম্যাচেও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ছিল হারের প্রবল চোঙ রাঙানি। একেবারে শেষ সময়ের গোলে হার এড়িয়ে ১-১ ড্র করে ইতালি। ওই ড্রয়ের সুবাদে খোঁড়াতে খোঁড়াতে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে ওঠে নকআউট পর্বে।
সেখানে আর শেষ রক্ষা হলো না তাদের। উজ্জীবিত সুইসদের বিপক্ষে বিবর্ণ পারফরম্যান্সে করে অসহায় আত্মসমর্পন। খসে যায় ইউরো চ্যাম্পিয়নের মুকুট।
দলের এমন হতাশাজনক, বিব্রতকর পারফরম্যান্স; স্পালেত্তির দলের সামর্থ্যহীনতার তীব্র সমালোচনা করে লেখা প্রতিবেদনে কোররিয়েরে দেল্লো স্পোর্ত ঢাউস কোনো শিরোনাম দেয়নি। স্রেফ এক শব্দে সেরেছে- ‘লজ্জা’।
গত দুই বিশ্বকাপে তো ইতালি বাছাইয়ের বৈতরণীই পার হতে পারেনি। তবে এর মাঝে ২০২১ সালে ইউরো জেতায় দলটির মুখ রক্ষা হয়েছিল কিছুটা। কিন্তু এখন মুখ লুকানোই দায়! ইতালির আরেক দৈনিক গেজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত তাদের প্রতিবেদনে গুরুত্ব দিয়েছে ‘সবকিছু নতুন করে গড়ার’ দিকে।
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT