ঢাকা: আগামীকাল মঙ্গলবার বিসিবি পরিচালক পর্ষদের রুটিন সভা। ২৪ ঘণ্টা আগে আজ সোমবার বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানিয়ে দিলেন, ‘আগামী কাল আমাদের বোর্ডের সভা রয়েছে। রুটিন বিষয়গুলোই আলোচিত হবে।
এর বাইরে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাজের বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। আমাদের একজন পরিচালক মৃত্যুবরণ করেছেন (তৌফিকুর রহমান আলো)। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। তার মৃত্যুতে বোর্ড সভায় শোক প্রস্তাব আসবে।’
‘আমাদের এফটিপি প্রতিশ্রুতি ছিলো আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টির। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা চেষ্টা করছি পরবর্তীতে এটা রি-শিডিউল করার।’
বিসিবি প্রধান নির্বাহীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এর বাইরেও এজেন্ডা আছে। সেটা কি? ‘বাংলাদেশ দল কোন আইসিসি বা এসিসির আসরে অংশ নিলে, তারপর পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হয়। এবারও তা হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক কিছু বিষয় আছে।’
নিজামউদ্দীন সুজনের কথায় পরিষ্কার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম বাংলাদেশের পারফরমেন্স ও ফলাফল নিয়ে ঢালাও আলোচনা-পর্যালোচনা হবে কালকের বোর্ড সভায়।
জানা গেছে, ২ জুলাইয়ের বোর্ড সভায় জাতীয় দলের বিদেশী কোচিং স্টাফ নিয়েও ব্যাপক হৈ চৈ হতে পারে। পরিচালকদের অনেকেই হেড কোচ হাথুরুসিংহে, প্রধান কোচ নিক পোথাস, ব্যাটিং কোচ ডেভিড হ্যাম্পসহ অনেক বিদেশি কোচের ওপরই রাজ্যের নাখোশ।
খুব নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, বোর্ড সভায় হেড কোচ হাথুরুসিংহের মেয়াদ না বাড়ানোর দাবি উঠতে পারে। এমনকি তাকে নির্ধারিত সময়ের আগে অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাবও আসার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
আগেই জানা আগামী বছর (২০২৫ সালে) আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি আছে হাথুরুসিংহে ও নিক পোথাসের। তার আগে তাদের অব্যাহতি দেয়ার মানেই অর্থদন্ড দেয়া। নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, তার আগে মাস তিনেক পর হলেও হাথুরুকে পদচ্যুত করার প্রস্তাবও আসতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবারের ওই সভায় জাতীয় দলের কোচ নিয়ে কথা উঠবে। বেশ কয়েকজন পরিচালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ তথা টিম ম্যানেজমেন্টের পারফরমেন্সে যারপরনাই নাখোশ।
ভেতরের খবর, পরিচালকদের বড় অংশ চান জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ করতে। তাদের দাবি, ২ জুলাইয়ের বোর্ড সভায় হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে উপস্থিত রেখে তাদের মুখ থেকে জাতীয় দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স ও ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ শোনা উচিৎ। তাতে করে অনেক বিষয়ই পরিষ্কার হতো। বোর্ড পরিচালকরাও তাদের নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারতেন।
জানা গেছে পরিচালকদের একটা বড় অংশ জাতীয় দলের ভিনদেশি কোচিং স্টাফ সম্পর্কে ভেবে-চিন্তে নতুন সিদ্ধান্ত নেবার দাবিতে সোচ্চার। তাদের সোজা কথা, এটা প্রমাণিত যে হাজার হাজার ডলার বেতন দিয়ে বিদেশি কোচ রেখে কাঙ্খিত উন্নতি হয়নি। কোটি কোটি টাকা বেতন নিয়ে ওসব বিদেশী কোচরা আসলে জাতীয় দলকে কি দিচ্ছেন? তাদের কাজ কতটা সন্তোষজনক, তা থেকে ক্রিকেটারদের কেমন উন্নতি হচ্ছে? এসব বিষয়ে নজরদারি ও খবরদারিও কম।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :