• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষেরও খারাপ দিন আসে: কান্নার বিষয়ে রোনালদো


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ২, ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষেরও খারাপ দিন আসে: কান্নার বিষয়ে রোনালদো

ঢাকা: অতিরিক্ত সময়ের খেলায় তখন বিরতি। মাঠের এক পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে পর্তুগালের খেলোয়াড়েরা। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সেখানে শিশুর মতো কাঁদছিলেন।

ইয়ান অবলাক যখন ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পেনাল্টিটি ঠেকিয়ে দিলেন, তখন পর্তুগিজ তারকার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ার পথে। কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।

ম্যাচের পর পর্তুগিজ গণমাধ্যমকে রোনালদো জানান, এটিই তার শেষ ইউরো। স্লোভেনিয়ান গোলকিপার অবলাক পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেওয়ার পর রোনালদো হয়তো ভেবেছিলেন, শেষ ইউরো টুর্নামেন্টে তাকে এভাবেই বিদায় নিতে হবে! হাঁটু মুড়ে তিনি দুই হাতে মুখ ঢেকে বসে পড়লেন মাঠে। কাঁদছিলেন শিশুর মতো। তার সতীর্থরা সবাই ছুটে যান তার দিকে, সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা যেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না তারাও।

ওই সময় মনে হচ্ছিল, স্লোভেনিয়া কি ইউরোর অন্যতম বড় একটা চমক উপহার দিতে যাচ্ছে? রোনালদোর পর্তুগালকে হারিয়ে স্লোভেনিয়া কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে সেটি ইতিহাসই গড়ে ফেলত। রোনালদো যখন পেনাল্টি মিস করলেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, রোনালদো নিজেও ভেবেছিলেন, তার মতো একজন কিংবদন্তির ক্যারিয়ারটা দেশের জার্সিতে শেষ হতে চলেছে সম্ভব নিষ্ঠুরতম উপায়ে।

কাল স্লোভেনিয়া ও পর্তুগালের মধ্যকার ইউরোর শেষ ষোলোর ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ছিল গোলশূন্য। অতিরিক্ত সময়ের ১৫তম মিনিটে পর্তুগাল পেনাল্টি পেয়েছিল। কিন্তু রোনালদো গোল করতে ব্যর্থ হলেন। যদিও টাইব্রেকারে শেষ পর্যন্ত পর্তুগাল জিতে হাসি ফোটাতে পেরেছে রোনালদোর মুখে। টাইব্রেকারে অবশ্য প্রথম শটটা রোনালদোই নিয়েছিলেন। সেটি থেকে গোল করেন। পর্তুগাল জিতেছে অবশ্য গোলকিপার দিয়োগো কস্তার দৃঢ়তায়। টাইব্রেকারে স্লোভেনিয়ার তিনটি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি।

কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে অবশ্য বড় পরীক্ষাই দিতে হবে। তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। ২০১৬ ইউরোতে ফাইনালে এই ফ্রান্সকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল পর্তুগাল। টাইব্রেকারে জেতার পর রোনালদো আবারও কেঁদেছেন। সেটি আনন্দে।

রোনালদো গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মানসিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষেরও খারাপ দিন আসে। দল যখন আমার কাছ থেকে কিছু চাচ্ছে, তখন আমি পতনের তলানিতে। প্রথমে কষ্টের কান্না, এরপর আনন্দের। একই ম্যাচে আমার দুই অনুভূতি হলো, আনন্দ ও দুঃখ। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আনন্দটা উপভোগ করা। সতীর্থরা দুর্দান্ত খেলেছে। আমরা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়েছি। জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। কারণ, আমরা পুরো ম্যাচেই ভালো খেলেছি।’

এআর

Wordbridge School
Link copied!