ঢাকা : সেই ২০০০ সালে ইতালিকে হারিয়ে শিরোপা উল্লাস করেছিল ফ্রান্স। এরপর কেটে গেছে দুই যুগ, কিন্তু এখনও ইউরোর মুকুট পুনরুদ্ধার করতে পারেনি তারা। এবার দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হওয়ার দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন কিলিয়ান এমবাপে। সেই লক্ষ্য পূরণের পথচলায় কোয়ার্টার-ফাইনালে তাদের সামনে বাধা পর্তুগাল। ফরাসি অধিনায়ক আপাতত ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর দলকে হারিয়ে জায়গা করে নিতে চান সেমি-ফাইনালে।
শেষ আটের লড়াইয়ে শুক্রবার মুখোমুখি হবে সাবেক দুই ইউরো চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও পর্তুগাল। হামবুর্গে বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হবে মাঠের লড়াই।
২০১৬ আসরে এই পর্তুগালের বিপক্ষেই হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভেঙেছিল ফ্রান্সের। প্যারিসের ফাইনালে ১-০ গোলে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল তারা। সেটাই পর্তুগালের প্রথম ও একমাত্র ইউরো শিরোপা।
শক্তি-সামর্থ্যে পর্তুগালও দারুণ সম্ভাবনাময়; কিন্তু এই মুহূর্তে দলটি খুব ভালো অবস্থায় নেই। গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ ষোলোয় উঠলেও সেখানে তাদের স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে জিততে হয় টাইব্রেকারে। ফরাসিরা যে দুর্দান্ত খেলছে, তাও অবশ্য নয়। গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে উঠে তারা বেলজিয়ামকে হারায় ১-০ গোলে। সেই গোলও আবার ছিল প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী।
চলতি আসরে ‘ওপেন প্লে’ থেকে এখনও গোল পায়নি ফ্রান্স। আর পর্তুগাল সবশেষ দুই ম্যাচে গোলহীন। তাই নিজেদের খুঁজে ফেরা দল দুটির মধ্যে সমানে-সমান লড়াই হতে যাচ্ছে, বলাই যায়। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেন এমবাপে। সঙ্গে নিজেদের লক্ষ্যের কথাও বললেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।
“ম্যাচটি জেতার এবং আগে সেমি-ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য আমাদের। শুরুতে প্রাথমিক ধাপগুলো পার হতে হয়েছে। এখন আমাদের সামনে দারুণ একটি প্রতিপক্ষ, পর্তুগাল। এই মুহূর্তে আমরা শুধু পর্তুগালের দিকেই নজর দিচ্ছি। আগে কী হয়েছে বা পরে কী হবে তা বিবেচ্য নয়, কারণ আগামীকাল জিততে আমাদের পারফর্ম করতে হবে।”
দলের মতো ছন্দে নেই এমবাপে নিজেও। এবারের আসরে তিনি দলটিকে নেতৃত্ব দিলেও সেভাবে টানতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত আসরে কেবলে একটি গোল করেছেন তিনি, সেটাও পেনাল্টি থেকে।
এর মধ্যে আবার প্রথম ম্যাচেই নাক ভেঙে যায় তার। মাস্ক পরে খেলা এই ফরোয়ার্ড অবশ্য এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখতে নারাজ।
“আমি অজুহাত খোঁজার মতো খেলোয়াড় নই। আগামীকাল আমাদের শতভাগ দিতে হবে এবং গতিময় ফুটবল খেলতে হবে। এখন কোয়ার্টার-ফাইনালের লড়াই এবং আমি দলকে সেমি-ফাইনালে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমরা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হতে পারি এবং আমি তা অর্জন করতে চাই।”
এমটিআই