ঢাকা: ইকুয়েডরের বিপক্ষে প্রথমার্ধে লিসান্দ্রো মার্টিনেজের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত ওই এক গোল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। ম্যাচের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ইকুয়েডর সমতা ফিরিয়ে খেলা জমিয়ে তোলে।
পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনা শট নিয়েছে আটটি, ইকুয়েডর নয়টি। লক্ষ্যে শট দুই দলের সমান দুটি করে। পরে টাইব্রেকারে ফল নিজেদের পক্ষে এলেও আর্জেন্টিনা কোচ নিজেদের খেলায় তৃপ্ত নন, ‘ম্যাচটা আমি উপভোগ করিনি। এ ধরনের জয় উপভোগ্য হয় না। আমার কাছে ভালো লাগেনি।’
তবে কোচের মনমতো খেলা না হলেও টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানের যে ফল এসেছে, তাতে সন্তুষ্টি আছে স্কালোনির, ‘দল সেমিফাইনালে উঠেছে, এদিক থেকে আমি সন্তুষ্ট। আমরা ভালো খেলি বা মন্দ খেলি, দল একটা পর্যায়ে যেতে পেরেছে। আর পেনাল্টি শুটআউটের সময়ই মনে হয়েছিল আমরা উতরে যেতে পারব। কারণ গোলকিপারের ওপর আমাদের বিশ্বাস ছিল।’
টাইব্রেকারে ইকুয়েডরের দুটি শট রুখে দেওয়া এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে প্রশংসায় ভাসিয়ে স্কালোনি বলেন, ‘এমিলিয়ানো যা করেছে, আমার আসলে বলার মতো কোনো শব্দ নেই। সে শুধু রক্ষণই সামলায়নি, সেভও করেছে। ওর গোল সেভের সময় চারপাশে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, খুবই দারুণ ছিল।’
ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়ে খেলায় ফিরেছেন মেসি, যিনি চোটের কারণে পেরুর বিপক্ষে আগের ম্যাচটি বেঞ্চে কাটিয়েছিলেন। তবে হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে খুব একটা উজ্জ্বল ছিলেন না মেসি। পুরো ম্যাচে বল স্পর্শ করেছেন মাত্র ২৭ বার, তিনটি ক্রসের মধ্যে সফল হয়েছে একটি। এরপর টাইব্রেকারেও প্রথম শট নিতে গিয়ে বল মেরেছেন ক্রসবারে।
মেসির এমন পারফরম্যান্সের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সরাসরি কোনো জবাব দেননি স্কালোনি, ‘বিশ্লেষণ গোটা বিশ্বই করে ফেলেছে। যতক্ষণ আমরা এখানে আছি, দলের সমন্বিত পারফরম্যান্সের সঙ্গে ব্যক্তির পারফরম্যান্সকে আলাদা করে দেখি না।’ মেসির চোট কাটিয়ে ফেরা কোনো সমস্যা তৈরি করেনি বলেই মনে করেন আর্জেন্টিনা কোচ, ‘আমি লিওকে জিজ্ঞাসা করছিলাম, সে বলেছে ভালো বোধ করছে, মাঠে থাকবে। দরকার হলে নামার জন্য আনহেল (দি মারিয়া) কিন্তু প্রস্তুত হয়ে নিচ্ছিল। আমার মনে হয় মেসি ভালোভাবেই শেষ করেছে। আমার মনে হয় না তাঁর সেমিফাইনাল খেলতে সমস্যা হবে।’
আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে খেলবে ভেনিজুয়েলাকানাডা ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে।
এআর