• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
ইউরো

তুর্কিদের হারিয়ে ২০ বছর পর সেমিতে নেদারল্যান্ডস


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ৭, ২০২৪, ০৬:৫৫ এএম
তুর্কিদের হারিয়ে ২০ বছর পর সেমিতে নেদারল্যান্ডস

ঢাকা: আসরে চমক জাগানো তুরস্ক কঠিন চ্যালেঞ্জ জানালেও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠল না। ২০ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে ফের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে উঠল নেদারল্যান্ডস।

বার্লিনে শনিবার কোয়ার্টার-ফাইনালের শেষ ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে রোনাল্ড কুমানের দল। সামেত আকাইদিনের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে সমতা টানেন স্টেফান ডা ভ্রেই। কিছুক্ষণ পরই আত্মঘাতী গোল করে পিছিয়ে পড়ে তুরস্ক, সেটাই গড়ে দেয় ব্যবধান।

ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতায় তুরস্কের সেরা সাফল্য ২০০৮ আসরে সেমি-ফাইনালে ওঠা। চমক জাগানো পারফরম্যান্স দেখিয়ে সেই অর্জনকে ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছিল তারা, কিন্তু আশা জাগিয়েও পারল না দলটি।

প্রথম আধা ঘণ্টায় কোনো দলই সেভাবে কারও ওপর চাপ তৈরি করতে পারেনি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের পরীক্ষা নেওয়ার মতো কিছু করতে পারেনি কেউ। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে টানা কয়েকটি ব্যর্থ আক্রমণ করে তুরস্ক এবং সেই ধারায় ৩৫তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম প্রচেষ্টাতেই এগিয়ে যায় তারা। ডান দিক থেকে আর্দা গিলেরের দারুণ ক্রস বক্সে পেয়ে হেডে গোলটি করেন ডিফেন্ডার আকাইদিন।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১০ মিনিটে দুবার প্রতিপক্ষের বক্সে ভীতি ছড়ায় নেদারল্যান্ডস। কোনোবারই অবশ্য গোলের জন্য শট নিতে পারেনি তারা। খানিক পরই গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে দ্বিতীয় গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় ডাচরা। প্রায় ২৬ গজ দূর থেকে গিলেরের বাঁকানো ফ্রি কিকে বল ঝাঁপিয়ে পড়া বার্ট ভেরব্রুখেনের আঙুল ছুঁয়ে পোস্টে লাগে।

৬৫তম মিনিটে অনেক দূর থেকে চেষ্টা করেন কেনান ইলদিজ। সামনে দুই দলের অনেক খেলোয়াড় থাকায় বলের গতি-প্রকৃতি বুঝতে বেগ পেতে হয় ভেরব্রুখেনের, সোজাসুজি শটটি শেষ মুহূর্তে কোনোমতে আটকান তিনি।

এরপরই সমতা ফেরে ডাচ শিবিরে। ৭০তম মিনিটে মেমফিস ডিপাইয়ের ক্রসে দুর্দান্ত হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইন্টার মিলান ডিফেন্ডার ডা ভ্রেই। পাঁচ মিনিট পরই রক্ষণের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম করে তুরস্ক। ডান দিক থেকে সতীর্থের পাস দূরের পোস্টে পেয়ে শট নেওয়ার চেষ্টা করেন কোডি হাকপো, তাকে বাধা দিয়ে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই ঠেলে দেন মের্ত মুল্দুর।

গোলের জন্য শেষ দিকে মরিয়া হয়ে ওঠে তুরস্ক। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পায় দলটি। সেমিহের শটটি দারুণ ক্ষীপ্রতায় রুখে ডাচদের জয়ের পথে রাখেন গোলরক্ষক।

বাকিটা সময় রক্ষণ সামলে শেষের বাঁশি বাজতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পুরো ডাচ শিবির। ১৯৮৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা সবশেষ এই প্রতিযোগিতায় সেমি-ফাইনাল খেলেছিল ২০০৪ আসরে। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে সেই মঞ্চে পা রাখতে পারল না তারা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী বুধবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস।

এআর

Wordbridge School
Link copied!